শারজায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ কী পেল!
বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। তাতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আফগানরা বাংলাদেশকে টপকে আটে উঠে গেছে। এমন সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে যদি কিছু থাকে, সেটি নাহিদ রানার বোলিং।
সিরিজে একটি ম্যাচই খেলেছেন তরুণ এই ফাস্ট বোলার। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচেই ওয়ানডে অভিষেক হলো নাহিদ রানার। অভিষেক ম্যাচে ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নাহিদ রানা পেয়েছেন সেদিকউল্লাহ আতাল ও গুলবদিন নাইবের উইকেট দুটি। নিখাদ গতি ও সঠিক লাইন–লেংথে বল করে সাদা বলের ক্রিকেটেও সম্ভাবনার জানান দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার।
গতি কিনতে পাওয়া যায় না। আপনি কাউকে জোরে বল করতে শেখাতেও পারবেন না। রানার গতিটা প্রকৃতিদত্ত। আমরা চেষ্টা করব, তাকে ঘষেমেজে আরও ভালো বোলার বানানোর।ফিল সিমন্স, কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
তৃতীয় ওয়ানডেতে নাহিদ রানার বোলিং দেখে মুগ্ধ বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কোচ বললেন, এমন গতিময় বোলার পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। নাহিদ রানাকে কীভাবে আরও ভালো বোলার বানানো যায়, সেই চিন্তার কথাও জানালেন সিমন্স।
গতকাল ম্যাচের পর সিমন্স সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়েই নাহিদ রানাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘রানা আজ অবিশ্বাস্য রকম ভালো বল করেছে। গতি কিনতে পাওয়া যায় না। আপনি কাউকে জোরে বল করতে শেখাতেও পারবেন না। রানার গতিটা প্রকৃতিদত্ত। আমরা চেষ্টা করব, তাকে ঘষেমেজে আরও ভালো বোলার বানানোর। অসামান্য প্রতিভাধর সে, সে সব সময়ই চায় জোরে বল করতে। আমি তো এমন কিছু দেখতেই ভালোবাসি।’
নাহিদ রানা কাল আফগান ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে ১৪৭ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড করেছেন। এরপর নাইবকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশকে।
গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক নাহিদ রানার। এরপর খেলা পাঁচ টেস্টে এখন পর্যন্ত ১৪ উইকেট পেয়েছেন। পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের মিডলঅর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে সিরিজ জেতাতে বড় ভূমিকাও রেখেছেন নাহিদ রানা।