‘চোকার’ শব্দটা এত দিন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বেলাতেই ব্যবহার করা হতো। এবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের পিঠেও সেটে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। আর কেউ নন, এ তকমা দিয়েছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব।
এর কারণ হিসেবে তিনি সামনে এনেছেন গত ৯ বছরে ভারতের তীরে এসে তরি ডোবার ‘অভ্যাস’কে! ২০১৩ সালের পর আর কোনো বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। সুযোগ এসেছে বহুবার। তবে একটা সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দিয়ে শুরু। সে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেন কোহলিরা। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালেও হার, সেবার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয় ভারতে। ঘরের মাঠে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা ভারত তখন ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর। তবে সে আসরেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারত হারে নিউজিল্যান্ডের কাছে। এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হার।
ইংল্যান্ডের কাছে এই হারটা সহজে হজম না হওয়ারই কথা ভারতের। কারণ, ইংল্যান্ডের সামনে গতকাল অ্যাডিলেডে দাঁড়াতেই পারেনি রোহিত শর্মার ভারত। হেরেছে ১০ উইকেটে। এমন হারের পরই কপিল দেব চোকার্স বলেছেন ভারতীয় দলকে।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক এবিপি নিউজে বলেছেন, ‘আমরা এখন ভারতীয় দলকে চোকার্স বলতেই পারি। এটা আর কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। ভারতের এখন তিরে এসে বারবার তরী ডুবছে। এই দলের এখন সামনে তাকানোর সময়। তরুণদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে যেকোনো দলেরই সবার আগে ইংল্যান্ডের জস বাটলারকে ফেরানোর কথা ভাবতে হয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেই দায়িত্বটা ছিল ভুবনেশ্বর কুমারের কাঁধে। সে ম্যাচের আগপর্যন্ত জস বাটলারকে নয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচবারই আউট করেছিলেন ভুবনেশ্বর। এবার আর সেটা হয়নি, উল্টো তাঁর করা প্রথম ওভার থেকেই ঝড় শুরু করেন বাটলার।
তাই পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের সমালোচনাও করতেও ছাড়েননি কপিল দেব, ‘বলছি না ভুবনেশ্বর খারাপ বোলার, তবে বলতেই হচ্ছে তার লাইন–লেংথ ইংল্যান্ড ম্যাচে খুবই সাদামাটা ছিল। ব্যাটিংয়ের শুরুটা বাজে হলেও শেষের দিকে আমরা ভালোই পুষিয়ে দিয়েছিলাম। তবে কখনো বোলারদের মনেই হয়নি তারা এই রানে ইংল্যান্ডকে আটকাতে পারবে।’