ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা—সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই দুই ওপেনারের সামনে কাল লজ্জায় পড়তে হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের। লক্ষ্ণৌর তোলা ৪ উইকেটে ১৬৫ রান হায়দরাবাদ টপকে গেছে ১০ উইকেট আর ১০.২ ওভার হাতে রেখে। লক্ষ্ণৌর হয়ে সবচেয়ে কম ইকোনমি রেটে বোলিং করেছেন স্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, তিনিও ২ ওভার দিয়েছেন ২৯ রান।
এমন ব্যাটিং দেখে লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। ম্যাচশেষে তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা, ‘সত্যি বলতে, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। টিভিতে ওদের এই ধরনের ব্যাটিং আমরা দেখেছি, কিন্তু আজকে অবিশ্বাস্য ছিল।’
এমন ম্যাচশেষে শুধু হেড-অভিষেকর ব্যাটিংই নয়, আলোচনায় উঠে এসেছে আরও একটি বিষয়। সে দিকটা মোটেই ক্রিকেটীয় নয়। ম্যাচশেষে লক্ষ্ণৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও রাহুলের মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। যেখানে কোনো একটা বিষয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে খুব অখুশি মনে হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা উত্তপ্ত সুরে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, এই আলোচনাটা হওয়া উচিত ছিল গোপনে, সবার সামনে নয়। অনেকেই গোয়েঙ্কাকে অপেশাদার বলে অভিহিত করেছেন। তবে এই বিষয়ে রাহুল কিংবা গোয়েঙ্কা কারও মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনা নিয়ে জিও সিনেমায় স্কট স্টাইরিস বলেছেন,‘সে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক, স্বাভাবিকভাবেই দল নিয়ে তিনি আবেগী। তিনি তাঁর দলকে বেদম পিটুনি খেতে দেখেছেন। আবেগী হওয়া ঠিক আছে, তবে এই ধরনের আলোচনা গোপনে হওয়াই ভালো। স্টেডিয়ামে অনেক ক্যামেরা, তারা কোনো কিছুই মিস করে না।’
চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক ক্রিকেটার এস বদ্রিনাথ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আলোচনা সব সময়ই স্বাস্থ্যকর। তবে এটা গোপনে হতে পারত।’
লক্ষ্ণৌর সামনে এখনো প্লে-অফে খেলার সুযোগ আছে। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্ণৌ ষষ্ঠ স্থানে।