সৌরভ গাঙ্গুলী, মহেন্দ্র সিং ধোনি বা বিরাট কোহলির ভারত যা পারেনি, সেটাই করে দেখাল রোহিত শর্মার দল! মোহালিতে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে ভারত। টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে তারা আগেই ছিল। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম একসঙ্গে তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়েই শীর্ষে উঠল ভারত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গতকাল জয় পাওয়া ম্যাচে অবশ্য ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন না রোহিত। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ভারতের অধিনায়ককে। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে রোহিত না থাকতে পারেন, কিন্তু দলটি তো তাঁরই! অনেক দিন ধরে দলকে জেতাতে জেতাতে তিন সংস্করণে একসঙ্গে শীর্ষে ওঠার মতো অবস্থায় নিয়ে আসার নেতৃত্ব তো তিনিই দিয়েছেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে একসঙ্গে তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার কীর্তি গড়ল ভারত। আইসিসির হিসাব অনুযায়ী এর আগে ২০১২ সালে এই কীর্তি গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া এই কীর্তি নেই আর কোনো দলের।
২০১২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সফরে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই সিরিজ খেলে। হিসাবটা ছিল এ রকম—যে দল টেস্ট সিরিজ জিতবে, তারাই এই সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠবে। ২০ আগস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২–০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে গ্রায়েম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টটি ড্র করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে ২০১২ সালের ৮ আগস্ট টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে প্রোটিয়ারা। ২৪ আগস্ট প্রথম ওয়ানডে ফলের মুখ দেখেনি। ২৮ আগস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে এই সংস্করণেরও শীর্ষে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। এভাবেই একসঙ্গে তিন সংস্করণেই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানে ছিল স্মিথের দল।
ভারত অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ হারলে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থান থেকে নেমে যেতে পারে। আর তারা যদি সিরিজটি জিতে যায়, তাহলে তিন সংস্করণের শীর্ষ দল হিসেবেই বিশ্বকাপে যেতে পারবে।