নিজেদের দেশে খেলার মতো পরিস্থিতি নেই, আফগানিস্তান তাই ঘরের ম্যাচগুলোও পরের মাঠেই খেলে! মানে, দূরদেশের কোনো মাঠকেই ‘ঘর’ বানিয়ে নিতে হয় তাদের। আফগানিস্তানের তেমনই এক ‘ঘরের মাঠ’ গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স গ্রাউন্ড। ভারতের এই মাঠটিতে ২০১৭ সালে প্রথম খেলেছে আফগানরা। সেবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২০২০ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছে ৩টি টি-টোয়েন্টি।
চার বছর পর আবার নয়ডায় ম্যাচ খেলতে গেছে আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। একদিক থেকে ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের জন্য ঐতিহাসিক, কিউইদের বিপক্ষে এটাই যে তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু এবার নয়ডায় আফগানদের অভিজ্ঞতা ভালো হচ্ছে না। মাঠের বাজে অবস্থা আর সুযোগ-সুবিধা এতটাই অপর্যাপ্ত যে সেখানে আর খেলতে যেতে চান না আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) এক কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘অনেক বিশৃঙ্খলা। এখানে আমরা আর (খেলতে) আসছি না। খেলোয়াড়েরাও এখানকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অসন্তুষ্ট।’ ওই কর্মকর্তা এরপর যোগ করেন, ‘এ মাঠের দায়িত্ব থাকা লোকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
আফগান বোর্ডের কর্মকর্তা আশা করছেন, ভবিষ্যতে ভারতের এ মাঠে আর খেলতে হবে না আফগানিস্তান দলকে, ‘আশা করছি, ভারতে আমরা ভালো একটি ভেন্যু খুঁজে পাব। আমরা যদি একটি ভেন্যুতে খেলে যেতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো। আশা করছি, এসিবি ও বিসিসিআই আমাদের ভালো একটি ভেন্যু দেবে।’
এসিবি কর্মকর্তার এমন ক্ষোভ আর নতুন ভেন্যু পাওয়ার আশা করার যথেষ্ট কারণও আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের একমাত্র টেস্টটি শুরু হওয়ার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু সারা দিন বৃষ্টি না থাকলেও ম্যাচের টসই হয়নি গতকাল। আগের রাতে নয়ডায় বৃষ্টি হওয়ার পর পুরো দিনে মাঠ খেলার উপযোগী করে তুলতে পারেননি মাঠকর্মীরা। আসলে স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই বাজে হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।
আম্পায়াররা ছয়বার মাঠ পরিদর্শন করেছেন। নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন খেলোয়াড়ও কয়েক দফায় মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তার ওপর মাঠসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও দুই দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখছেন না। আর স্টেডিয়ামের ঘোষণা-ব্যবস্থাও ভালো নয়। কখন খেলা শুরু হতে পারে বা কী হচ্ছে, এসবের কিছুই দর্শক জানতে পারে না।
সব মিলিয়ে এসিবির কর্মকর্তা আর আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স নিয়ে খুবই হতাশ।