২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকেই টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেও মাহমুদউল্লাহ বলেননি। টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তিনি খেলছেন শুধু সাদা বলের ক্রিকেটটাই।
সাদা বল বলতেও আসলে শুধু ওয়ানডে। গত দেড় বছরে টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর জন্য জায়গাই খুঁজে পাননি নির্বাচকেরা। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময় মাহমুদউল্লাহর ফর্ম, ফিটনেস, টিম কম্বিনেশন—এসবকেই সামনে এনেছেন তাঁরা।
কিন্তু এবারের বিপিএলে ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ ব্যাট হাতে এমনই দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন যে জুনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পারলে তাঁকে এখনই দলে নিয়ে নেয় বিসিবি।
মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে আজ এক সভার পর ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস সরাসরিই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘কী বলব! রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহর) ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, গত বিশ্বকাপে তার যে স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাস্টিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে টি-টোয়েন্টিতে অটোমেটিক্যালি চলে আসে। আর এখন তো প্রমাণ করছে। যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েস।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২২ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারের বিপিএলেও মাহমুদউল্লাহ দুর্দান্ত খেলছেন। সর্বশেষ গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জেতা ম্যাচে ২৪ বলে করেছেন অপরাজিত ৫১ রান। পাঁচ ম্যাচের দুটিতে অপরাজিত থেকে রান করেছেন ১০৪, স্ট্রাইক রেট ১৬৫.০৭।
মাহমুদউল্লাহর এই পারফরম্যান্স দেখে জালাল ইউনুস এতটাই মুগ্ধ যে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর সুযোগ না পাওয়ার কোনো কারণই দেখছেন না, ‘এই মুহূর্তে সে সুযোগ পাবে কি পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। সে ভালো খেলছে, ভালো পারফর্ম করছে। আমি তো মনে করি, এমনিতেই তার দলে চলে আসা উচিত। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’
এ ক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহর বয়সটাকেও কোনো বাধা মনে করছেন না তিনি, ‘বয়স কোনো ব্যাপার নয়। সে কতটা ফিট, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে। কোনো খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, সে খেলা চালিয়ে যেতে পারে। যদি পারফর্ম করে, তাহলে তো তাকে দলে রাখতে অসুবিধা নেই। সে পারফর্ম করছে। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে তৎপর। তাহলে কেন নয়?’