টি-টোয়েন্টিতে ২০২১ সালটা ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ব্যাট হাতে এই সংস্করণে দুর্দান্ত একটা বছরই কাটিয়েছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ৪৫ ইনিংসে ৫৬.৫৫ গড় ও ১৩২.০৩ স্ট্রাইক রেটে ২০৩৬ রান করেছিলেন রিজওয়ান। এক পঞ্জিকাবর্ষে এটাই ছিল এত দিন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান গতকাল রাতে রিজওয়ানকে পেছনে ফেলেছেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি এখন তাঁর দখলে। গতকাল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ১৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলার পথে রিজওয়ানকে টপকে যান পুরান।
এ ম্যাচের আগে রিজওয়ানের রেকর্ড নিজের করে নিতে ৫ রানের প্রয়োজন ছিল পুরানের। সেটি ছোঁয়ার পর আরও ২২ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে এখন তাঁর রান ২০৫৯। এই রান তিনি করেছেন ৬৫ ইনিংস ব্যাটিং করে, ৪২.০২ গড় ও ১৬০.৮৫ স্ট্রাইক রেটে। এ বছর আরও টি-টোয়েন্টি আছে পুরানের সামনে
এ বছর খেলা প্রায় প্রতিটি টুর্নামেন্টেই ভালো করেছেন পুরান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তিনি করেছেন আইপিএলে-১৪ ইনিংসে ৬২.৩৭ গড়ে ৪৯৯। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ১০ ইনিংস খেলে করেন ৩৫৪ রান। সিপিএলে এখন পর্যন্ত খেলা ৯ ইনিংসে তাঁর রান ৩১২।
এ ছাড়া পুরান এ বছর খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট, ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি ও বাংলাদেশের বিপিএলে। মেজর লিগ ক্রিকেটে ৭ ইনিংসে করেছেন ১৮০ রান। হান্ড্রেডে ৭ ইনিংসে ২২৭, এসএ টি-টোয়েন্টিতে ৩ ইনিংসে ৮৬ ও বিপিএলে ২ ইনিংসে ১৭ রান করেছেন পুরান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও বছরটা ভালোই কেটেছে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালে ১৩ ইনিংস খেলে করেছেন ৩৮৪ রান। এর মধ্যে এ বছরের মাঝামাঝি হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ইনিংস খেলে ৩৮ গড়ে তাঁর রান ২২৮। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ৩ ইনিংসে ১১৯ ও অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩ ইনিংসে ৩৭ রান করেছেন পুরান।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি এ বছর রান সংগ্রহে পুরানের কাছাকাছি আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিজা হেনড্রিকস। ৫৯ ম্যাচে ৩১.১০ গড়ে তিনি করেছেন ১৫৫৫ রান। এরপর আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম (৩৬ ম্যাচে ৪৬.২৫ গড়ে ১৪৮০ রান) ও অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড (৩৯ ম্যাচে ৪১.২০ গড়ে ১৪৪২ রান)।