পাকিস্তানের সদ্য সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি
পাকিস্তানের সদ্য সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি

বাবরকে নিয়ে বিবৃতি দেননি আফ্রিদি, পিসিবি মনগড়া কথা বসিয়ে দিয়েছে

‘পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে পারাটা চূড়ান্ত সম্মানের ব্যাপার। সব সময়ই এ স্মৃতি ও সুযোগ লালন করে যাব। দলের খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক বাবর আজমকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য। আমি তার নেতৃত্বে খেলেছি এবং তার প্রতি আমার শুধুই শ্রদ্ধা রয়েছে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমি তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক। আমাদের লক্ষ্যও একটাই, পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল বানানো।’

বাবর আজমকে আবার দায়িত্ব দেওয়ার পর ওপরের বিবৃতিটি দিয়েছেন সদ্য বিদায়ী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। সে বিবৃতিটি পাকিস্তান ক্রিকেটের ওয়েবসাইটে ছিল এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল সব।

তবে নতুন সংবাদ হচ্ছে, আফ্রিদি নাকি ওই বিবৃতি দেনইনি। তাঁর সঙ্গে কথা না বলে এমন বিবৃতি ছাপানোর পর বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন মাত্র এক সিরিজ পরই অধিনায়ক হিসেবে বরখাস্ত হওয়া আফ্রিদি। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, এ ব্যাপারে নাকি পাল্টা আরেকটি বিবৃতি দিতেও উদ্যত হয়েছিলেন এ বাঁহাতি পেসার। তবে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলে তাঁকে থামিয়েছে পিসিবি।

আফ্রিদি অবশ্য দমেননি তাতেও। আজ পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা আছে তাঁর।

বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদি

ক্রিকইনফো বলছে, যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে আফ্রিদি খুশি নন মোটেও। তাঁকে বিবৃতি দেওয়ার কথাও বলেনি পিসিবি। তবে ঠিকই তাঁর কথা হিসেবে ওপরের বিবৃতিটি চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনা সামনে আসার পর পাকিস্তানের ক্রিকেটে আবার তৈরি হয়েছে নতুন নাটক।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণেই পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। শান মাসুদকে টেস্ট এবং আফ্রিদিকে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। আফ্রিদির অধীনে নিউজিল্যান্ড সফরে ৫ ম্যাচের একটি সিরিজই খেলেছে পাকিস্তান।

আফ্রিদি যে অধিনায়ক থাকছেন না, সেটির আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগেই। পাকিস্তানের নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার সময় পিসিবির চেয়ারম্যান নাকভি বলেছিলেন, এমনকি তিনিও জানেন না কে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হবেন। আফ্রিদি নাকি নতুন কেউ—সেটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পের পর ঠিক করার কথাও বলা হয়। তবে কার্যত আফ্রিদিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত যে চূড়ান্ত হয়েই গিয়েছিল, সেটিও এখন বোঝা যাচ্ছে।

কিন্তু ঠিক কী কারণে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো, সে ব্যাপারে নাকি পুরো পরিষ্কার নন আফ্রিদি নিজেই। পিসিবি যে তাঁর সঙ্গে পরিষ্কার কোনো যোগাযোগ করেনি, সে ব্যাপারেও হতাশ এ ২৩ বছর বয়সী। এরই মধ্যে আফ্রিদির এমন বিবৃতি ছাপিয়ে তাঁকে আরও ক্ষুব্ধই করে তুলেছে পিসিবি।

এমনিতে বাবরের সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্ক বেশ ভালোই। এর আগে বাবরের নেতৃত্ব যখন হুমকির মুখে, তখনো তাঁর প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পর একরকম নিজেরাই ফেঁসে গেছে পিসিবি। আপাতত তাই এ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত তারা।