১.৩ ওভারে ২/২। যে দুজন আউট হয়েছেন, কেউই রান করতে পারেননি। একজন ম্যাচের প্রথম বলেই আউট, আরেকজন ভুগেছেন ৮ বল ধরে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এ ঘটনা এখন নিয়মিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২১, ২৩ ও ৮ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছিল প্রথম ২ উইকেট। অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে এরপরও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ‘উন্নতি’ হয়েছে বলতে হবে। এদিনই যে এ দফা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার ১০০ পেরোল বাংলাদেশ!
তবে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানেই। এ ম্যাচে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও তা যথেষ্ট নয় বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হাশান তিলকারত্নে। টপ অর্ডার নিয়ে নিজের হতাশাটাও ঠিক লুকাননি তিলকারত্নে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ম্যাচে আজ তৃতীয় ওপেনিং জুটি দেখল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে আজ মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে এসেছিলেন দিলারা আক্তার, ম্যাচের প্রথম বলেই যিনি আউট। শিগগিরই ফেরেন তিনে নামা সোবহানা মোস্তারিও, প্রথম দুই ওয়ানডেতে যিনি ওপেন করেছিলেন ফারজানা হকের সঙ্গে। টি-টোয়েন্টিতে ফারজানাকে বাদ দিয়ে আনা হয়েছে দিলারাকে, তবে চিত্রটা বদলায়নি।
টপ অর্ডারের সমস্যাটা কী, সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিলকারত্নে বলেন, ‘হ্যাঁ, বেশ হতাশ ব্যাটিং নিয়ে। তবে আজ রিকভারি (পুনর্গঠন) অনেক ভালো ছিল। সেখানে ইতিবাচক কিছু ব্যাপার আছে। বিশেষ করে জ্যোতি (নিগার) ও ফাহিমার (খাতুন) ব্যাটিংয়ে খুশি আমি। তারা একসঙ্গে যেভাবে খেলেছে। হিসাব করে কিছু ঝুঁকি নিয়েছে ঠিক মুহূর্তে।’
বাংলাদেশের কোচের বলা পরের কথাতেই ফুটে ওঠে ম্যাচের চিত্রটা, ‘কিছু ইতিবাচক দিক আছে। তবে সেগুলো যথেষ্ট ভালো নয়। উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি।’
বাংলাদেশকে অবশ্য আফসোস করতে হচ্ছে ঠিকই, ‘আমার এখনো মনে হয়, ১৫-২০ রান কম করেছি। এর বাইরে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তাতে খুশি। বিশেষ করে জ্যোতি যেভাবে খেলেছে। শেষ ৩ ওয়ানডেতে তার একটু খারাপ সময় গেছে। আর কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইন্টেন্ট ভালো দেখাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটা ভালো ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ বেশ ভালো। তাদের থেকে শেখার আছে।’
সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না ব্যাটারদের, তিলকারত্নে স্বীকার করে নিয়েছেন সেটি, ‘আমাদের একটু বাজে সময় যাচ্ছে। কাটিয়ে উঠতে মাঝেমধ্যে সময় লেগে যায়। এটি ভিন্ন সংস্করণ, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটও অনেক ভালো ছিল। প্রথম ৬ ওভারে আরেকটু ইন্টেন্ট দেখাতে পারতাম। তবে আমার মনে হয়, ইনিংস মেরামতের কাজটি বেশ ভালো ছিল। দ্বিতীয় উইকেটের পর ৫০-৬০ রান তুলেছি। এটা বেশ ভালো ছিল। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশা করি, সামনে করতে পারব।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে সেসব দ্রুত করতে হবে বলেও মনে করেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসছে, আমাদের কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে হবে শিগগিরই। একত্র বসে দেখতে হবে, কীভাবে দ্রুত উন্নতি করা যায়।’