ঘরোয়া ক্রিকেটে মেয়েদের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বা রূপান্তরিত নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, পুরুষ বয়ঃসন্ধির মধ্য দিয়ে যাওয়া কেউ রূপান্তরিত হয়ে নারী দেশটির শীর্ষ দুটি স্তর টায়ার ওয়ান ও টায়ার টুতে খেলতে পারবেন না।
এই নিয়মটি মেয়েদের ‘দ্য হান্ড্রেড’–এও কার্যকর হবে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের তৃতীয় স্তর থেকে নিচে এবং বিনোদনমূলক ক্রিকেটে রূপান্তরিত নারীদের অংশগ্রহণে বাধা নেই।
ইসিবির সিদ্ধান্তের এক বছর আগেই ২০২৩ সালের নভেম্বরে ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
রূপান্তরিত নারীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইসিবি বলছে, ‘বিস্তৃত পরামর্শ’ এবং ‘ন্যায্যতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি’র মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে, ‘পরামর্শ গ্রহণকালে সংগৃহীত বিস্তৃত মতামত, ২০২৩ সালে পরিচালিত আলোচনা পর্ব এবং প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা প্রমাণ বিবেচনায় নিয়ে ইসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে মেয়েদের পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেটে আইসিসির মতো একই নীতি গ্রহণ করা হবে।’
আইসিসি ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে দুই বছরের মধ্যে পর্যালোচনার কথা বললেও ইসিবি এ নিয়ে কিছু জানায়নি। ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণকে ‘জটিল বিষয়’ অঞ্চল উল্লেখ করে ইসিবি বিবৃতিতে লিখেছে, ‘ইসিবি স্বীকার করে যে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ একটি জটিল ক্ষেত্র। যেটায় অনেকে দৃঢ়তাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এবং সব বিবেচনার মধ্যে ভারসাম্য রাখা অসম্ভব।’
ইসিবির বিদ্যমান নিয়মে ট্রান্সজেন্ডাররা লিখিত ছাড়পত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। তাঁদের রূপান্তরিত হওয়ার প্রমাণ কেস–বাই–কেস ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে খেলার বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের সাঁতার, সাইক্লিং, অ্যাথলেটিকস, রাগবি লিগ ও রাগবি ইউনিয়নে আগে থেকেই ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ।