বাংলাদেশ সিরিজ ভারতের জন্য এক পরীক্ষা–নিরীক্ষার মঞ্চ। নিজেদের নিয়ে সেই পরীক্ষা–নিরীক্ষায় গতকাল নতুন এক রেকর্ড গড়েছে ভারত। নাজমুলদের বিপক্ষে ভারতের সাতজন বোলারই কমপক্ষে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। নিজেদের ৯২ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে যেকোনো সংস্করণে প্রথমবার এমন কিছু দেখেছে ভারত।
টেস্ট ক্রিকেটে এমন কীর্তি দেখা গেছে চারবার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ বার (৭টি পূর্ণ সদস্য দল)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলিং ইনিংসে সব বোলারের উইকেট পাওয়ার এটি ১১তম ঘটনা, আর ভারত সে ১১তম দেশ। কোনো বোলিং ইনিংসে ৮ বোলারই উইকেট পেয়েছেন—এমন ঘটনা এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সব বোলারকে উইকেট দিতে বোধ হয় খানিকটা পছন্দই করে! এই সংস্করণে এর আগে এক ইনিংসে বোলিং করা সাতজনকেই বাংলাদেশ উইকেট দিয়েছে তিনবার।
নিজেদের ইতিহাসে খেলা প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত বোলারকেই উইকেট দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ দলের সাত বোলারকেই উইকেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম সাতজনকেই আউট করেছেন ভারতের সাতজন বোলার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন ঘটনা এর আগে হয়েছে মাত্র একবার। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম সাতজনকে আউট করেছিলেন নামিবিয়ার সাত বোলার।
দিল্লিতে কাল বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো মজা করেছে ভারত। নইলে কী আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৩ উইকেট পাওয়া (কাল ম্যাচের আগপর্যন্ত) নীতিশ কুমারের হাতে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বল তুলে দেন! এখানেই শেষ নয়, হার্দিক পান্ডিয়াকে দিয়ে বোলিংই করাননি। স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে দিয়ে বোলিং করিয়েছে মাত্র এক ওভার।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘দেখতে চেয়েছি, ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন বোলাররা কী করতে পারে, তারা কঠিন ওভারগুলো করতে পারে কি না। মাঝেমধ্যে হার্দিক বোলিং করবে না, কখনো ওয়াশিংটন করবে না। দেখতে চেয়েছে অন্যদের সামর্থ্য কী, তা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।’
দিল্লিতে কাল বাংলাদেশ হেরেছে ৮৬ রানে। তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে সূর্যকুমারের দল। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশ ধবলধোলাই হবে কি না, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই দিন। আগামী পরশু হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচ।