সেদিকউল্লাহ আতাল
সেদিকউল্লাহ আতাল

বাংলাদেশ সিরিজে আফগানিস্তান দলে সেই আতাল

৫২, ৯৫*, ৮৩, ৭৫*—স্বীকৃত ক্রিকেটে সেদিকউল্লাহ আতালের সর্বশেষ চার ইনিংস। এর মধ্যে অপরাজিত ৯৫ রান করেছেন গত পরশু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে, যে ইনিংসটি আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে নিয়ে গেছে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে।

এমন পারফরম্যান্সের পর আতালের জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা বোধ হয় প্রাপ্য হয়ে উঠেছিল। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (এসিবি) আতালকে সুখবরটা দিতে দেরি করেনি। ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনারকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে রেখেছে এসিবি।

আজ ঘোষিত ১৯ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াডে নতুন মুখ আরও দুজন—টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান দরবিশ রাসুলি ও পেসার বিলাল সামি। দলকে যথারীতি নেতৃত্ব দেবেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার নুর আহমেদ।

আফগান দলের নিয়মিত ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান গত মাসে অনুশীলনের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন। চোট থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তাঁকে বিবেচনা করা হয়নি। হাতে চোট পাওয়া স্পিনার মুজিব উর রহমানেরও পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে।

স্কোয়াড ঘোষণার পর এসিবির প্রধান নির্বাচক আহমেদ শাহ সুলাইমানখিল বলেছেন, ‘ইব্রাহিম জাদরান বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুজিব উর রহমানেরও চিকিৎসা চলছে। তবে নুর আহমেদ দলে ফিরেছে। প্রতিশ্রুতিশীল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সেদিকউল্লাহ আতালকে আমরা দলে নিয়েছি। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে সে সবাইকে মুগ্ধ করেছে।’

পরশু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন আতাল

বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজটি হবে শারজায়। প্রথম ম্যাচ ৬ নভেম্বর, পরের দুটি ৯ ও ১১ নভেম্বর। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত জুলাইয়ে। সে সময় আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজই খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। ৩টি ওয়ানডের সঙ্গে ছিল ৩ টি–টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে গত মার্চে ওয়ানডে সিরিজটি স্থগিত করা হয়। তখন জানানো হয়েছিল, সিরিজটি পরে কোনো একসময় আয়োজন করা হবে।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে আছে আফগানিস্তান। সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে আফগানরা। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ, যা এই সংস্করণে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচ দলের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়।

আফগানিস্তানের স্কোয়াড: হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ–অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), ইকরাম আলীখিল (উইকেটকিপার), আবদুল মালিক, রিয়াজ হাসান, সেদিকউল্লাহ অটল, দরবেশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, নাঙ্গিয়াল খারোতি, আল্লাহ গজানফর, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, বিলাল সামি, নাভিদ জাদরান ও ফরিদ মালিক।