ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে এবার নতুন আলোচনা পিএসএলে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অধিনায়ক শাদাব খানের অভিযোগ, তাঁর দলের ম্যাচে বল ট্র্যাকিংয়ে ভুল ডেলিভারি দেখানো হয়েছে।
কাল পিএসএলে কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের বিপক্ষে খেলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ম্যাচে কোয়েটা অধিনায়ক রাইলি রুশো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হলেও পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। রুশো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে কোয়েটাকে ৩ উইকেটে জেতান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ডিআরএস বিতর্ক তৈরি হয় কোয়েটা ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে। অফ স্পিনার আগা সালমানকে সুইপ করতে গেলে বল রুশোর সামনের প্যাডে লাগে। বোলার–ফিল্ডারদের আবেদনে আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার আলিম দার আাঙুল তুলে আউট দেন।
তবে রুশো রিভিউ নিলে হক–আই বল ট্র্যাকিংয়ে দেখায়, বলের পিচিং, ইমপ্যাক্ট ও হিটিং—সবই অফ স্টাম্পের বাইরে। মাঠের বড় স্ক্রিনে সেটি দেখে হতভম্ব হয়ে যান ইসলামাবাদের ফিল্ডাররা। সেটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না দার নিজেও।
১৩ রানে বেঁচে যাওয়া রুশো শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচসেরাও হন এ মৌসুমে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া এই প্রোটিয়া।
তবে বল–ট্র্যাকিংয়ের আগে স্লো মোশন ভিডিওতে দেখা যায়, সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ক্ষেত্রে বলের ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট যেখানে দেখানো হয়েছে, আর যে জায়গায় বল আসলেই প্যাডে লেগেছে—দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে।
ম্যাচ শেষে ইসলামাবাদ অধিনায়ক বল ট্র্যাকিংয়ের ভুল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপে শাদাব বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রযুক্তিতে ভুল হয়েছে। এখানে ভিন্ন বল দেখানো হয়েছে। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে এসব ছোট ভুল হওয়া উচিত নয়। আমি লেগ স্পিনার হয়ে ৪ ওভার করেছি, মনে হয় না বল এত ঘুরছিল। আর তারা দেখিয়েছে, আগার বল অফ স্টাম্পের বাইরে লাগত এবং ঘুরে বের হয়ে যেত। আমি তা বিশ্বাস করি না।’
সম্প্রতি ভারত–ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও ডিআরএস আলোচনায় এসেছে। রাজকোট টেস্টে বল ট্র্যাকিংয়ে ভুল প্রজেকশনের (বলের গতিপথ) মাধ্যমে জ্যাক ক্রলিকে আউট দেওয়া হয়েছিল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ‘আম্পায়ার্স কল’ বাদ দেওয়া নিয়েও কথা বলেন। পরে জানা যায়, টেলিভিশনে যে গ্রাফিকস দেখানো হয়েছে, সেটির সঙ্গে হক-আইয়ের কাছে থাকা ডেটার পার্থক্য ছিল।