নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় দিয়ে বাংলাদেশ দলের ২০২২ সাল শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজ জয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি জয়ের পর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় ছিল বছরের বড় অর্জন। বছরের শেষটাও হতে পারত ঐতিহাসিক কীর্তিতে। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটে।
তবে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের বছরটা ভালোই কেটেছে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আশা, আসন্ন ২০২৩ সালটা আরও ভালো কাটবে বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটের প্রসঙ্গেই বললেন, ‘২০২৩ সালে আমাদের তিনটা বা পাঁচটা টেস্ট ম্যাচ আছে এফটিপিতে। আমি মনে করি, তিনটি সিরিজই আমাদের জেতা উচিত, যে ধরনের দলের সঙ্গে আমরা খেলব। অবশ্যই জেতা উচিত।’
কুড়ি ওভারের খেলায়ও বাংলাদেশ দলের উন্নতিতে খুশি সাকিব, ‘টি-টোয়েন্টিতেও আমরা বেশ ভালো একটা অবস্থায় চলে আসছি। আমার ধারণা, ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটা দল দাঁড় করাতে পারব, যেটা ২০২৪ বিশ্বকাপে খুব ভালো করবে, যেটা আমরা হয়তো প্রত্যাশাও করি না, ততটা ভালো করার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি, যেহেতু বিশ্বকাপটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে বরাবরের মতোই ধারাবাহিক বাংলাদেশ দলের জন্য ২০২৩ সালটা গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।
সাকিব বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ওয়ানডেতে আমরা স্থিতিশীল দল, যেখানে আমাদের ভালো না করার কোনো কারণই নেই। ২০১৪ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে মনে হয় একটা সিরিজ হেরেছি কেবল। ওয়ানডেতে খারাপ করার কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না। বিশ্বকাপের বছর, অবশ্যই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এই একটা জায়গায় আমরা যে ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে যাই, সেভাবে পারফর্ম করতে পারি না। তবে আমরা যদি দল হয়ে খেলতে পারি, অবদান সব জায়গা থেকে আসে, তাহলে এই বিশ্বকাপ আমাদের খুব ভালো যাবে।’
মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের মানসিকতা ও নেতৃত্ব বোধের উন্নতিটাকে বড় করে দেখছেন সাকিব। তাঁর কথা, ‘আমাদের যে জায়গায় ঘাটতি ছিল, সেখানে অনেক বেশি উন্নতি করেছি। আমাদের এখন যে ধরনের চিন্তাধারা, ড্রেসিংরুমে যে ধরনের কথা হয়, যে ধরনের লিডারশিপ এখন তৈরি হচ্ছে, ২০২৩ সালে আমরা…অবশ্যই (আরও ভালো) দেখব বলে আমার মনে হয়।’