১ হাজার ২১ দিনের খরা শেষে গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। এরপর গত ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিপক্ষে ওয়ানডেতে আদায় করে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
এটি দিয়ে ৩ বছরের বেশি সময় পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে শতকহীন থাকার আক্ষেপও দূর করেছেন কোহলি। এখন কোহলির শুধু টেস্ট ক্রিকেটে স্বরূপে ফেরার অপেক্ষা।
লাল বলের ক্রিকেটে অস্বস্তিটুকু বাদ দিলে গত বছরটাকে কোহলির ফেরার বছর বলায় যায়। তবে মাঠের ক্রিকেটেই শুধু নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকে ২০২২ সাল ছিল কোহলির জন্য লাভজনক বছর।
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছর ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক স্পনসরশিপ এবং বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে আয় করেছেন ২৫৬ দশমিক ৫২ কোটি রুপি, যা কিনা গত বছর ভারতের যেকোনো ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এ তালিকায় অন্যদের চেয়ে কোহলির তাঁর সতীর্থদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোহিত শর্মার চেয়ে কোহলির আয় তিন গুণ বেশি। হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালে ভারতের বর্তমান অধিনায়কের আয় ছিল ৭৪ দশমিক ৪৭ কোটি রুপি।
তৃতীয় স্থানে থাকা যশপ্রীত বুমরার আয়ও কোহলির তুলনায় যৎসামান্যই বলা চলে। গত বছর চোটের সঙ্গে ধুঁকতে থাকা এ পেসার আয় করেছেন ৫৭ দশমিক ৯২ কোটি রুপি। এ ছাড়া বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রিকেটারদের তালিকাতেও কোহলির অবস্থান ৬১ নম্বর স্থানে।
তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি গত বছর বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনাতেও ছিলেন কোহলি। যেমন বিশ্বকাপ চলাকালে কোহলির হোটেল রুমে ঢুকে ভিডিও করে এক ভক্ত তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল। ঘটনাটি নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন কোহলি।