সেঞ্চুরি তো ক্যারিয়ারে কম করেননি। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবর আজমের সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ২৮। তবে এমন বুনো উল্লাস কয়বার করেছেন? করেছেন কি না, সেটাই তো সন্দেহ!
তবে কাল ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে সেঞ্চুরি করার পর বাবরকে দেখা গেছে ভিন্নরূপে। কেন এই বুনো উল্লাস, ম্যাচ শেষে তা জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক নিজেই।
ধারাবাহিকভাবে রান করার পরও পাকিস্তানে বাবর আজমের সমালোচনার কমতি নেই; বিশেষ করে বাবরের অধিনায়কত্ব ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটারই ওপেনিং থেকে বাবরকে সরানোর কথা বহুবার বলেছেন।
এই সমালোচনার তাপ যে বাবরের গায়েও লেগেছে, সেটা বোঝা গেল বাবরের কথাতে। বাবর এমন উদ্যাপন কি সেসব সমালোচকের উদ্দেশে করেছেন—ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্ন করা হলে হাসতে হাসতে বাবরের জবাব, ‘আপনি সেটা বলতেই পারেন।’ এরপর অবশ্য যোগ করলেন, ‘আমি অবশ্য এসব বিষয় খুব বেশি মাথায় রাখি না। আমি খেলি পরিস্থিতি ও দলের চাহিদা অনুযায়ী।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি বাবরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক শুধু রোহিত শর্মা (৪)। এই সেঞ্চুরির সুবাদে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন বাবর। ক্রিস গেইলের ২২ সেঞ্চুরির পর বাবরের ৯ সেঞ্চুরিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
একমাত্র অধিনায়ক হিসেবেও বাবর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে করেছেন তিন সেঞ্চুরি। দুটি করে সেঞ্চুরি নিয়ে এত দিন বাবরের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা ও সুইজারল্যান্ডের ফাহিম নাজির।
যদিও বাবর বলছেন ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন, ‘ব্যক্তিগত অর্জন নিয়েও আমি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নই। আমি কীভাবে পারফর্ম করলে দলের উপকার হয়, আমার মনোযোগ সেদিকে। দল সবার আগে, এরপর ব্যক্তিগত মাইলফলক। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই সেঞ্চুরিটা বিশেষ।’