তখনো মোহাম্মদ নাঈমকে এশিয়া কাপের দলে ডাকা হয়নি। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের মতো আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও দুই স্বীকৃত ওপেনার এনামুল হক ও পারভেজ হোসেনের মতো ইনিংস উদ্বোধন করতে এলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে ‘উজ্জ্বল’ তাঁর পারফরম্যান্সই—প্রথম ম্যাচে ২১ বলে ২৯ রানের পর আজ এ অলরাউন্ডার করেন ৩৪ বলে ৪৬। ইনিংসে তিনটি করে চার ও ছক্কা।
ওপেনিংয়ে মিরাজের ব্যাটিং সামর্থ্য দেখানোর দিনে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন পেয়েছেন রানের দেখা। তবে আবার নিষ্প্রভ মাহমুদউল্লাহ।
মিরাজ আজ ওপেনিংয়ে আসেন সাকিবের লাল দলের হয়ে, এনামুলের সঙ্গে। ১০ বলে ১৩ রান করে শরীফুল ইসলামের বলে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন এনামুল, আগের ম্যাচে ৩ বলে ৪ রান করেই ফিরেছিলেন যিনি।
শুরুতেই একবার জীবন পাওয়া সাকিব সুযোগ কাজে লাগান, ১৯ বলে ৩০ রান করে। মেহেদী হাসানকে জায়গা বানিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়। তবে আরেকটু ব্যাটিংয়ের ইচ্ছা ছিল, সেটি পরিষ্কার আউট হওয়ার পর তাঁর হতাশাতেই।
মিরাজ ফিরেছেন নাসুম আহমেদের ফুল লেংথের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর আফিফ হোসেনকেও তুলে নেন নাসুম। ২৮ বলে ৫০ রান করার পর সামনে গিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন আফিফ, ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কা। এর মধ্যে দুটিই মারেন নাসুমের পরপর দুই বলে, কাউ-কর্নার দিয়ে স্লগ সুইপে।
সবুজ দলে আজ তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, নাসুমদের সঙ্গে বোলিং করেছেন নেট বোলার রুবেলও। বাঁহাতি এ কবজির স্পিনারকে দিয়ে করানো হয় ২ ওভার। তাসকিন ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দিলেও খরুচে ছিলেন বাকি দুই পেসার—শরীফুল ৩ ওভারে দেন ৪৩ রান, ইবাদত দেন ৩ ওভারে ৫৩ রান।
তাঁদের ওপর চড়াও হন ছয়ে নামা মোসাদ্দেক হোসেনও। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ২০ বলে ৪৮ রান, ৪টি চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১ চারে ১৩ রান করে। লাল দল ২০ ওভারে তোলে ২০৯ রান। সবুজ দল ২.৪ ওভার ব্যাটিং করার পরই নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হয়নি আর।
আগামীকাল এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। সেখানে তাদের প্রথম ম্যাচ আগামী ৩০ আগস্ট, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।