এশিয়া কাপ ফাইনালের পরে ভারতীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে ও ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রমিজ রাজা। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রমিজ রাজাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। রমিজ রাজার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় স্পোর্টস ইয়ারির সেই সাংবাদিক রোহিত জুগলানের।
সে সাংবাদিকও চুপ করে থাকেননি। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার প্রশ্ন কি ভুল ছিল? পাকিস্তানের দর্শকেরা কি কষ্ট পায়নি? বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে খুব ভুল করলেন, আপনি আমার মোবাইল কেড়ে নিতে পারেন না। এটি ঠিক হয়নি চেয়ারম্যান।’
রমিজ তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। এত দিন চুপ করে থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন রমিজ। ইউটিউবের এক অনুষ্ঠানে রমিজ দাবি করেছেন, সেই সাংবাদিকের প্রশ্নটাই ছিল উসকানিমূলক, ‘সাংবাদিক যে প্রশ্নটা করেছিল, সেটাই ঠিক ছিল না। সে বলেছে আমাদের দল নিয়ে পাকিস্তানের মানুষ অসন্তুষ্ট। সে কীভাবে এটা জানল? সে তো পাকিস্তান থেকে ২ হাজার মাইল দূরে থাকে। তার কথাটা পুরোপুরিই উসকানিমূলক ছিল।’
টুর্নামেন্টের শেষ দুটি ম্যাচে পাকিস্তান প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি, রমিজ এটা মেনে নিয়েছেন। তবে ওই সাংবাদিককে নিয়ে বলেছেন, ‘মাঠে তো সে সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে বসেনি। সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত আলাদা জায়গায় বসেছিল সে। তাহলে সমর্থকদের বক্তব্য খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কীভাবে জানল সে? মনের মধ্যে বিদ্বেষ থাকলে এই সব প্রশ্ন মাথায় আসে। ওটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমি এটা নিয়ে আর আলোচনা চাই না।’
এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের হারের পর রমিজকে করা ভারতের সাংবাদিক রোহিত জুগলানের প্রশ্নটা ছিল এ রকম, ‘দলের হারে পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আপনি কি তাঁদের জন্য কোনো বার্তা দেবেন?’
এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান রমিজ। সেই সাংবাদিককে রমিজ বলেছিলেন, ‘আপনি মনে হয় ভারত থেকে এসেছেন, আপনার দেশের জনগণ তো মনে হয় অনেক খুশিতে আছে!’ ঘটনা শুধু বিতণ্ডাতেই শেষ হয়ে যায়নি। সে সময় সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রমিজ।