২টা বেজে ২১ মিনিট। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার হিসেবে নাম লেখান পেসার হারিস রউফ। ১০ ওভারে এই বোলার খরচ করেন ৮৫ রান।
১৭ মিনিট পর, অর্থাৎ ২টা বেজে ৩৮ মিনিট। রউফকে সরিয়ে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি খরচ করেছেন ১০ ওভারে ৯০ রান।
আরেক পেসার হাসান আলী লজ্জার রেকর্ড গড়তে পারেননি, তবে তিনিও খরচ করেছেন ১০ ওভারে ৮২ রান। এই তিন বোলারের বোলিং ফিগার দেখলেই বোঝা যায়, পাকিস্তানের বোলারদের ওপরে কী ঝড় চালিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।
প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০১ রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড।বিশ্বকাপে এটি নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর। আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। এর আগে ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০২ রান তুলেছিল কিউইরা। সব মিলিয়ে এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলেছিল ৩ উইকেট ৪৪৪ রান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর।
চোট থেকে ফিরে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন উইলিয়ামসন। এ ইনিংসের পথে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন কিউই অধিনায়ক। বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের রান ২৪ ইনিংসে ১০৮৪। ৩৩ ইনিংসে ১০৭৫ রান করে এত দিন শীর্ষে ছিলেন স্টিভেন ফ্লেমিং।
নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র আজ ভেঙেছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এক বিশ্বকাপে তিনটি শতক করেছেন রবীন্দ্র। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শচীন করেছিলেন দুটি শতক। এই বিশ্বকাপে এরই মধ্যে তিন সেঞ্চুরিতে ৫২৩ রান করেছেন রবীন্দ্র। ২৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ছুঁয়েছেন শচীনের রেকর্ড। ২৫ বছরে পা রাখার আগে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ৫২৩ রান করেছিলেন শচীন। সেই রেকর্ড এবার ভাঙতে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিত।
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬টি চার দিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা, যা পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে দুবার ৪৩টি চার দিয়েছিলেন তাঁরা।