তাসমানপারের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের শেষ সিরিজ এটি। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য নিউজিল্যান্ড–সমর্থকদের কাছ থেকে খুব একটা ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ আশা করছেন না এ বাঁহাতি ওপেনার। আট বছর আগের স্মৃতির দিকে ফিরে তাকিয়ে ওয়ার্নার বলছেন, নিউজিল্যান্ড দর্শকদের আচরণ এবারও কঠিনই হবে।
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অকল্যান্ড, হ্যামিল্টন, ওয়েলিংটন—প্রতিটি ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা কটূক্তির শিকার ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে করা সেসব মন্তব্যকে ‘অবমাননাকর ও কুৎসিত’ বলেছিলেন তিনি। ওয়ার্নার বলেছিলেন, ‘আমার দুই মেয়ে যদি থাকত, তাহলে আমি চাইতাম না তারা এসব শুনুক।’
অস্ট্রেলিয়ার শেষ মৌসুমে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া ওয়ার্নার এবারও খুব একটা ব্যতিক্রমী কিছু আশা করছেন না। সিরিজ শুরুর আগে তিনি বলছেন, ‘নির্মম সত্যটা হচ্ছে, আমরা প্রতিবেশী এবং একে অন্যকে যেকোনো খেলায় হারাতে পছন্দ করি। সেদিক থেকে দেখলে আমরা জানি, দর্শক আমাদের দিকে তেড়ে আসতে চাইবে।’
তবে সেসব পাত্তা দিতে চান না আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া ওয়ার্নার, ‘হ্যাঁ, দর্শক ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। যদি তারা তেমনই করে, তাহলে সেটি তাদের ব্যাপার। আমি আমার কাজ করে যাব। কিছু যদি কানেও আসে, তাহলে সব সময় যেমন বলি, “এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দেওয়া।” আমি এখানে খেলা উপভোগ করি।’
২১ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম ম্যাচ, পরের দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডে। ওয়ার্নারের মতে, কে কী বলল, সেসব না ভেবে তাদের কাজ শুধু খেলে যাওয়া, ‘এটি আসলে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। যদি আপনি টাকা খরচ করে এসে লোককে কটূক্তি করতে চান, তাহলে আপনার আসলে ফিরে গিয়ে ঘরে শুয়ে থাকা উচিত। আমরা যে খেলাটি ভালোবাসি, সেটি খেলতেই এসেছি, যাতে লোকে আকৃষ্ট হয়।’
তিনটি টি-টোয়েন্টির পর এ সফরে দুটি টেস্টও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট সিরিজ নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা নয় ওয়ার্নারের। তবে দীর্ঘ সংস্করণের আগে সিরিজটা জিততে চান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩০৬৭ রানের মালিক, ‘দারুণ হবে (সিরিজ জেতা)। শুধু টি-টোয়েন্টির কথা ভাবলে নয়, টেস্ট সিরিজ জেতাটাও দারুণ হবে।’
২৯ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট, ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আগামী ৮ মার্চ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ চারটি টেস্ট সিরিজই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।