চার দিনের খেলা শেষে জয়ের স্বপ্নের কথা সরাসরিই উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশ শিবির থেকে। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন শেষে সেই স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল। এই সেশনে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। রান উঠেছে ৮৫।
পেসাররা নয়, বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। শেষ দিনের প্রথম সেশন শেষে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১০৮। এখনো তারা পিছিয়ে ৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনটা শেষ করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশকে আবারও ব্যাট করাতে ৯৪ রান দরকার ছিল দলটির। উইকেটে ছিলেন শফিক ও মাসুদ।
প্রথম ইনিংসে বিতর্কিতভাবে আউট হওয়া পাকিস্তান অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেটে টিকতে পারেননি। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। তবে মাসুদের ক্যাচ নেওয়া লিটনই পরের ওভারে শরীফুলের বলে বাবর আজমের ক্যাচ ছেড়েছেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া বাবর বেঁচে গেছেন ‘পেয়ার’ পাওয়া থেকে।
টেস্ট ক্রিকেটে দেড় বছরেরও বেশি হাফ সেঞ্চুরিহীন বাবর অবশ্য দ্বিতীয় জীবনকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২২ রানে নাহিদ রানার করা ঘণ্টায় ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। পরের ওভারেই সাকিবের বলে স্টাম্পড হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা সৌদি শাকিল। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি।
৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেয়। শফিককে সঙ্গে নিয়ে রিজওয়ান গড়েন ৩৬ বলে ৩৭ রানের জুটি। রিজওয়ানই ছিলেন আক্রমণের নেতৃত্বে, শফিক খেলছিলেন দেখেশুনে। তবে হুট করেই ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাদমানের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। পরের ওভারেই মিরাজ ফেরান সালমান আলী আগাকে। এরপর বাকি সময়টা শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে কোনোভাবে পার করে দেন রিজওয়ান।
লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় আসছে কি না।