বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোহলির সেঞ্চুরি দেখতে চান স্টুয়ার্ট ব্রড
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোহলির সেঞ্চুরি দেখতে চান স্টুয়ার্ট ব্রড

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলির সেঞ্চুরি দেখতে চান স্টুয়ার্ট ব্রড

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আজ শুরু হচ্ছে ওভালে। এটি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হলেও এই টেস্টে তীক্ষ্ণ নজর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদেরও। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের। তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সমর্থন করছেন ভারতকেই। এর কারণও আছে, সামনেই যে প্রতীক্ষিত অ্যাশেজ সিরিজ। ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো বিপর্যয় আখেরে লাভবান করবে ইংল্যান্ডকেই। মানসিকভাবে অ্যাশেজে এক কদম এগিয়ে থেকেই শুরু করতে পারবে ইংলিশরা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের জয় টান ব্রড

৩৬ বছর বয়সী ব্রড এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বড় অস্ত্রই। ১৬২ টেস্টে ৫৮২ উইকেট নেওয়া ব্রড ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরা অবশ্য ব্রডকে খুব একটা পছন্দ করেন না। বিশেষ করে গত এপ্রিল থেকে তিনি তাঁদের কাছে আরও চক্ষুশূল। এপ্রিলে ব্রড হঠাৎ করেই বলে বসেন, ২০২১–২২ সালে সর্বশেষ যে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া ৪–০ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে, সেটি সত্যিকারের অ্যাশেজ নয়। কারণ, সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোভিড–১৯ বিধিনিষেধের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া আগামী ৮ সপ্তাহে ৬টি টেস্ট খেলবে, যেটি হবে তাদের ফাস্ট বোলারদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।

ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষা নিক, এটাই চান ব্রড

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের ফাইনাল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্রড কিছুটা রসিকতাই করেছেন, ‘আমি কোনো অস্ট্রেলিয়ানকে খেপিয়ে দিতে চাই না। তাদের মন খারাপও করে দিতে চাই না।’

ফাইনালটা কেমন দেখতে চান, এই প্রশ্নের জবাবে ব্রডের মন্তব্য, ‘দেখুন, আমি পুরোনো চিন্তাভাবনার মানুষ। আমি চাই, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জোর লড়াই হোক দুই দলের মধ্যে। ভারত ভালো করুক। চেতেশ্বর পূজারা একটা ভালো ভিত্তি গড়ুক। এরপর বিরাট কোহলি এসে দারুণ একটা সেঞ্চুরি করুক।’

এবারের অ্যাশেজে ইংল্যান্ড মাঠে নামবে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই। সর্বশেষ ১৩টি টেস্টের ১১টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ড টেস্ট দলের কোচ ও বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ইংলিশরা টেস্ট ক্রিকেটকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।