টেস্টের পর ওয়ানডেতেও অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন স্টিভেন স্মিথ। মায়ের মৃত্যুর কারণে আপাতত আর ভারতে ফেরা হচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। পরিবারকেই সময় দিচ্ছেন এই পেসার। তাতে পাঁচ বছর পর আবারও অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্মিথ। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর এবারই প্রথম ওয়ানডের অধিনায়কত্ব করবেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে থেকে অ্যারন ফিঞ্চ অবসর নেওয়ার পর এই সংস্করণের দায়িত্ব পান কামিন্স। নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হয় প্যাট কামিন্স অধ্যায়। তবে ৩ ম্যাচের সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কামিন্সকে দেওয়া হয় বিশ্রাম, সেই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন জশ হ্যাজলউড।
এবার কামিন্সের অবর্তমানে দায়িত্ব পেলেন স্মিথ। অর্থাৎ, সর্বশেষ ৫ ওয়ানডের মধ্যে ৪ জন অধিনায়ক পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাকিলিস চোটের কারণে এবার আর অধিনায়ক হিসেবে হ্যাজলউডকে বিবেচনার সুযোগ ছিল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সামনে। চোটের কারণে টেস্ট সিরিজও খেলতে পারেননি হ্যাজলউড।
অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে স্মিথকে অভিজ্ঞই বলতে হবে। কারণ, এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে ৫১টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। যার সর্বশেষটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। স্মিথ ১২ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৫টি করেছেন অধিনায়ক হিসেবে।
এবারের ভারত সফরেও অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন স্মিথ। কামিন্সের নেতৃত্বে প্রথম দুই টেস্ট হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া স্মিথের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুই টেস্টের মধ্যে জিতেছে একটিতে, ড্র করেছে অন্যটি।
কামিন্স না ফিরলেও তাঁর বদলি হিসেবে কাউকে নিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। তিন মাসের বেশি সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এ সিরিজ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরছেন। দলে আছেন ভারতের সফরের মাঝপথে দেশে ফেরা ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাস্টন অ্যাগার।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ১৭ মার্চ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।