‘কোটি টাকার হৃদয়ের কোটি টাকার ব্যাটিং’—এবারের বিপিএলে তাওহিদ হৃদয় কেমন ব্যাটিং করছেন, সেটি প্রথম আলোর এই শিরোনামেই পরিষ্কার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানই এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রান ও ছক্কার মালিক।
১৩ ম্যাচে ২৪টি ছক্কা মেরেছেন হৃদয়। বিপিএলের এক আসরে যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চারটি ছক্কা মেরেই রেকর্ডটাকে নিজের করে নিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী হৃদয়।
ইনিংসের চতুর্থ ছক্কাটি মেরেই রেকর্ড গড়েন হৃদয়। পেছনে ফেলেন তামিম ইকবালের রেকর্ড। ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২৩টি ছক্কা মারেন তামিম। ওই ২৩ ছক্কার ১১টিই তামিম মেরেছিলেন ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। সেদিন ১০ চার ও ১১ ছক্কায় ৬১ বলে ১৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়লেও বিপিএল ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে হৃদয়ের চেয়ে বেশি ছক্কা আছে আরও ছয়জনের। ওই ছয়জনের পাঁচজনই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়।
ফাইনালে হৃদয় যদি ১টি ছক্কা মারতে পারেন, ছুঁয়ে ফেলবেন ২০১১-১২ মৌসুমে বরিশাল বার্নার্সে খেলা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদকে। ২টি ছক্কা পেলে হৃদয় পাশে বসবেন জনসন চার্লস ও ক্রিস গেইলের। চার্লস গত মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে মারেন ২৬টি ছক্কা। ২০১১-১২ মৌসুমে প্রথম বিপিএলে ২৬ ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইলও।
২০১৭-১৮ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ২৭ ছক্কা মারা এভিন লুইসকে ছুঁতে হৃদয়ের দরকার ৩টি ছক্কা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ২৮টি করে ছক্কা মেরে লুইসের ওপরেই আছেন নিকোলাস পুরান ও আন্দ্রে রাসেল। পুরান সেই মৌসুমে খেলেছেন সিলেট সিক্সার্সে আর রাসেল ঢাকা ডায়নামাইটসে।
এক বিপিএলে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটা ভাঙা এককথায় অসম্ভব হৃদয়ের। রেকর্ডটা যে ৪৭ ছক্কার। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে অতগুলো ছক্কা মারেন ক্যারিবীয় বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। রেকর্ডটা ভাঙতে যে আরও ২৪টি ছক্কা দরকার হৃদয়ের!
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে ১৮টির বেশি ছক্কা মারতে পারেননি কেউ। সেই ১৮ ছক্কা ক্রিস গেইল মেরেছিলেন ২০১৭-১৮ মৌসুমের বিপিএলেই। মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে সেদিন ৬৯ বলে ১৪৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন গেইল।