ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখে অনেকে লিগ পর্বেই তাদের শেষও দেখে ফেলেছিলেন।
কিন্তু বলা হয়, ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া নাকি কখনো হারার আগে হারে না। সেই কথার সত্যতা প্রমাণ দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় প্যাট কামিন্সের দল। প্রতি ম্যাচে উন্নতি দেখিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে থেকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে তারা। সবশেষ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়া উড়িয়ে দিয়েছে ৮ উইকেটে।
দারুণ ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়া আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই ম্যাচেও তারা দারুণ কিছু করে দেখাতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের সাবেক ফাস্ট বোলার জহির খান ও সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন। ভন তো বলেই দিয়েছেন, অপরাজেয় ভারতকে যদি কোনো দল হারাতে পারে, তবে সেটি অস্ট্রেলিয়া। এ সময় পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দল কেমন হওয়া উচিত, সেটিও জানিয়েছেন ভন।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর ক্রিকেটভিত্তিক পোর্টাল ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে ভন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দল, যারা ভারতকে হারাতে পারে। যে ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার ও ইতিহাস তাদের আছে, তারা জানে কীভাবে বিশ্বকাপ জিততে হয়। আমি যদিও এখনো ভারতকে ফেবারিট মনে করছি। তবে তাদের আগে অবশ্যই নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হবে। তবে যদি দুই দল ফাইনালে যেতে পারে, তবে এই অস্ট্রেলিয়া দলের সুযোগ আছে।’
পরের ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়ার একাদশ কেমন হওয়া উচিত তা–ও জানিয়েছেন ভন, ‘এখন স্মিথ ছন্দে ফিরে এসেছে। আমি তাকে চার নম্বরে রাখব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে লাবুশেনকে আমি রাখতে পারছি না। স্মিথ-লাবুশেন দুজনকে রাখলে আমার মনে হয় প্রতিপক্ষ দল কিছুটা স্বস্তিতে থাকে। এই দলে (জশ) ইংলিস হচ্ছে একমাত্র ক্রিকেটার, যে ছন্দ ফিরে পায়নি। সে ভালো উইকেটকিপার। কিন্তু ব্যাট হাতে বেশি রান পায়নি। আমার জন্য অস্ট্রেলিয়ার আদর্শ সমন্বয় হচ্ছে যেভাবে ওয়াংখেড়েতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে সেটা। যেখানে লাবুশেন-স্মিথের একজনকে বেছে নিতে হবে। স্মিথ ছন্দে ফিরেছে। তাই স্মিথকে আমি ৪ নম্বরে রাখব। আর পাঁচে ইংলিস থাকবে এবং ছয়ে ম্যাক্সওয়েল।’
ভনের আগে একই আলোচনায় ভারতের সাবেক পেসার জহির খানও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে বাকিদের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ–যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না। তারা অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। তারা প্রতিটি ম্যাচ ধাপে ধাপে এগিয়ে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে এবং আরও ভালো হয়েছে। আর এখন যেভাবে তারা সেমিফাইনালে গেছে, ম্যাক্সওয়েল সেদিন যা করেছে, ট্রাভিস হেড শতক পেয়েছে, ওয়ার্নার শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের একজন, মিচেল মার্শ রান পাচ্ছে, স্টিভ স্মিথও রান পাচ্ছে। হঠাৎ করেই তাদের ভিন্ন একটি দল মনে হচ্ছে। তাদেরকে স্থিতিশীল একটা দল মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটা যেকোনো দলের জন্য ভীতিকর। এই ধরনের দল নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে।’