কখনো জোর গতিতে, কখনো ধীরলয়ে—আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভারত তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাবে কি না, এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। সে আলোচনা গতকাল একটু চরমে উঠেছিল। প্রথমে ভারতের সংবাদ সংস্থা একটি খবর দেয় যে বিসিসিআইয়ের দেওয়া হাইব্রিড মডেলে সম্মত হয়েছে পিসিবি। এ খবরের পাল্টা দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এটাকে ভিত্তিহীন খবর বলে আখ্যা দেয়। তারা খবরে এ–ও জানায় যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানেই হবে।
সামা টিভির সেই খবরের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম খবর দেয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অনড় আছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় লাহোরে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। তিনি সেখানে বিসিসিআইকে কড়া বার্তা দেন এ বলে যে অতীতে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পিসিবি অনেক সৌজন্যতা দেখিয়েছে, সব সময় এটা তারা দেখাতে পারবে না। নাকভির এ কথার পর আজ জানা গেল, পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার বিষয়টি বিসিসিআই আইসিসিকেও জানিয়ে দিয়েছে।
ক্রিকেটবিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, আইসিসিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বলে দিয়েছে যে ভারত সরকার পাকিস্তানে দল পাঠাবে না। আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
ভারতের এ সিদ্ধান্তের পর পিসিবিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। সে পরিকল্পনায় নিশ্চিত করেই আসবে হাইব্রিড মডেলের বিষয়টি। আর গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে তো বিসিসিআইয়ের সূত্র বলেই দিয়েছিল যে তারা হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের ম্যাচগুলোর ভেন্যু হিসেবে দুবাইকে পছন্দ করেছে। এর আগে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও হয়েছিল এই মডেলে। সে সময় ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।