কথাবার্তা এগিয়েই ছিল। বিসিবি জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে চাচ্ছিল মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। আগেও একই দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিনও আগ্রহী ছিলেন পুরোনো কাজে ফিরতে।
অবশেষে আজ তাঁকেই বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। যদিও এবার পদের নাম সিনিয়র সহকারী কোচ। চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এর সপ্তাহখানেক আগে শেষ হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সূত্র জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের বেতন হবে মাসে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো।
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, যোগ্য স্থানীয় কোচদের জাতীয় দলসহ বিসিবির বিভিন্ন দলে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, জাতীয় দলের জন্য স্থানীয় একজন সহকারী কোচ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সালাউদ্দিনকে সহকারী কোচ করা প্রসঙ্গে কাল বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে যোগ্য প্রার্থীদের (স্থানীয় কোচ) জাতীয় দলে আনা হবে। কোচ হিসেবে সালাউদ্দিনের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এবং জ্ঞান তাঁকে এই পদের জন্য আদর্শ প্রার্থী করে তুলেছে। আমার বিশ্বাস যোগ্য বাংলাদেশি কোচদের প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসার এটাই সময়।’
আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে ফারুক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সালাউদ্দিন। দুজনের সে আলোচনাতেই চূড়ান্ত হয় তাঁর নিয়োগ। সালাউদ্দিন জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ শুরু করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে। যোগ দেবেন সিমন্সের সহকারী হিসেবে, সিমন্সের চুক্তির মেয়াদও আপাতত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্তই।
এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ ও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন সালাউদ্দিন। ২০১০-২০১১ সালে ছিলেন বিসিবির একাডেমির বিশেষজ্ঞ কোচ। ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
এসিসি-ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার লেভেল-৩ কোর্স করা সালাউদ্দিন কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতে কাজ করেছেন বিকেএসপির খণ্ডকালীন কোচ হিসেবেও। দুই দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কোচের কোচিংয়ে বিপিএলে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। একাধিকবার জিতেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও।