হায়দরাবাদের আরও একটি উইকেটের পতন, কলকাতার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
হায়দরাবাদের আরও একটি উইকেটের পতন, কলকাতার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

বরুণের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ বলে রোমাঞ্চকর জয় কলকাতার

লক্ষ্য ১৭২ রান। খুব বড়ও নয়, আবার নয় খুব ছোটও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শুরুটা করেছে দেখেশুনে, সাবধানে। কিন্তু উইকেট পতন ঠেকাতে পারেনি তারা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে রানও তুলেছে ৫৩। পাওয়ারপ্লের পর ১ রান তুলতেই আরও একটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।

সেই চাপ থেকে অবশ্য তারা বেরিয়ে আসে পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম এবং ও হেনরিখ ক্ল্যাসেনের জুটির ভালো ব্যাটিংয়ে। কিন্তু এ দুজন আউট হয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকের নাটকীয়তা ডিঙিয়ে আর ম্যাচ জিততে পারেনি হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি কলকাতা জিতেছে ৫ রানে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তোলে কলকাতা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মার্করাম ও ক্ল্যাসেন মিলে ৪৭ বলে তোলেন ৭০ রান

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মার্করাম ও ক্ল্যাসেন মিলে ৪৭ বলে তোলেন ৭০ রান। জুটি ভাঙে ২০ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২০ বলে ৩৬ রান করে ক্ল্যাসেনের আউটে। মার্করাম আউট হয়েছেন ৪ চারে ৪০ বলে ৪১ রান করে।

মার্করাম যখন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে ফেরেন, ১৬.৫ ওভারে হায়দরাবাদের রান তখন ৬ উইকেটে ১৪৫। জয়ের জন্য তখনো তাদের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। এই অবস্থায় ম্যাচ একবার কলকাতা, আরেকবার হায়দরাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছিল। এভাবে এগোতে এগোতে শেষ ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৬ বলে ৯ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট।

এ অবস্থায় কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ রানা বল তুলে দেন বরুণ চক্রবর্তীর হাতে। প্রথম বলে ১ রান দেন তিনি। তাঁর দ্বিতীয় বল থেকে লেগবাই হিসেবে আরও একটি রান পায় হায়দরাবাদ। নিজের তৃতীয় বলে বরুণ তুলে নেন আবদুল সামাদকে। হায়দরাবাদের তখন ৩ বলে প্রয়োজন ৭ রান। পরের বলটি ডট। পঞ্চম বল থেকে আসে ১ রান। জয়ের জন্য হায়দরাবাদের তখন ১ বলে দরকার ৬ রান।

কলকাতাকে ১৭১ রান এনে দিতে অধিনায়ক রানা ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩১ বলে ৪২ আর ৪টি চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে ৪৬ রান করেন রিংকু সিং

মাঠে ছোট্ট একটা মিটিং সেরে নেন কলকাতার খেলোয়াড়েরা। সেই মিটিং কাজে লেগেছে। শেষ বলটিতে কোনো রান দেননি কলকাতার লেগ স্পিনার বরুণ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বৈভব অরোরা ও শার্দুল ঠাকুর।

এর আগে কলকাতাকে ১৭১ রান এনে দিতে অধিনায়ক রানা ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩১ বলে ৪২ আর ৪টি চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে ৪৬ রান করেন রিংকু সিং। এ ছাড়া ১৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছয়ে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল।

এই জয়ের পর ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে আছে কলকাতা। প্লে-অফের আশা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে হায়দরাবাদ। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস।