চারজন পেসার, চারজন স্পিনার—কানপুর টেস্টের জন্য চেন্নাইয়ের দলটিকেই অপরিবর্তিত রেখেছেন ভারতের নির্বাচকেরা। কিন্তু কানপুরে একাদশ পরিবর্তনের আহ্বানই জানালেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানের ধারাভাষ্যকার এবং ক্রিকেট বিশ্লেষক সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
মাঞ্জরেকারের চাওয়া সেই পরিবর্তন কী? দলে অসাধারণ চারজন স্পিনার আছেন—রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। তাঁদের তিনজনকে খেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন মাঞ্জরেকার। অশ্বিন ও জাদেজার সঙ্গে নিতে বলেছেন কুলদীপকে। চেন্নাইয়ে একাদশে ছিলেন না কুলদীপ। তিন পেসার যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপের সঙ্গে খেলেছেন দুই স্পিনার, অশ্বিন ও জাদেজা।
অশ্বিন আর জাদেজা শুধুই স্পিনার নন, তাঁরা মূলত স্পিনিং অলরাউন্ডার। চেন্নাইয়ে প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারতের ব্যাটিং যখন দিশাহারা, ব্যাট হাতে এগিয়ে আসেন অশ্বিন ও জাদেজা। সপ্তম উইকেটে দুজনে মিলে করেছেন ১৯৯ রান। অশ্বিন ১১৩ বলে করেছেন ১১৩ রান, জাদেজা আউট হয়েছেন ৮৬ রান করে। ভারতও প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে করেছে ৩৭৬ রান।
তিন স্পিনারের দুজন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজা তো অলরাউন্ডারই। তাহলে কুলদীপকে শুধুই একজন স্পিনার হিসেবে কানপুর টেস্টে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু কানপুরে সবুজ উইকেট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চেন্নাইয়ের এবারের উইকেট অতটা স্পিনবান্ধব ছিল না বলেই তাঁকে একাদশে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের নির্বাচকেরা। কিন্তু শেষ দিকে ঠিকই স্পিনাররা উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছেন।
মাঞ্জরেকার অবশ্য মনে করেন, উইকেট যেমনই হোক কুলদীপকে একাদশে রাখা উচিত। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে রাখা এত সহজ নয়। আমি বিশ্বাস করি, উইকেট যদি টার্নিং না–ও হয়ে থাকত, তাহলেও চেন্নাইয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলিয়ে সুবিধা নেওয়া উচিত ছিল ভারতের। কারণ, ভারতের পিচে সিমাররা এক থেকে দেড় দিনই শুধু সুবিধা পাবে। এরপর উইকেট স্পিনারদের সাহায্য করতে শুরু করে।’
মাঞ্জরেকার এরপর যোগ করেন, ‘কানপুরে ভারতের এই মনোভাব নিয়েই খেলা উচিত। সেখানকার পিচ যদি সবুজও হয় এবং সূর্য মেঘের আড়ালে থাকে, তাহলেও তাদের মনে রাখতে হবে সবুজ উইকেট (পেসারদের)) শুধু কয়েক ঘণ্টাই সাহায্য করবে আর এর সুবিধা নেওয়ার জন্য বুমরা ও সিরাজই যথেষ্ট। আপনার হাতে যখন তিনজন পরীক্ষিত স্পিনার থাকবে, তিনজনকেই খেলানো উচিত।’