নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ শুরু হলেও কেইন উইলিয়ামসন এখনো মাঠের বাইরে। চোটের কারণে প্রথম দুই ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকার পর নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামীকাল। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে বিশ্বকাপে আজই প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন উইলিয়ামসন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ কেমন?
প্রশ্নটি আরেকটু খোলাসা করে করা হয়েছিল উইলিয়ামসনকে। বিশ্বকাপে তো সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশ কেমন প্রতিপক্ষ—এই প্রশ্নের দীর্ঘ উত্তরই দিয়েছেন উইলিয়ামসন। বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে তারা খুব ভালোভাবে পরিচিত। দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড়ও আছে। আর আমি ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে এটিই বলি, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এলেই দেখবে এমন অনেক দল থাকে, যারা কন্ডিশনভেদে ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড়ের সহায়তায় একে অপরকে হারাতে পারে।’
উইলিয়ামসন আরেকটু বুঝিয়ে বললেন, ‘প্রতিটি দলের বিপক্ষেই আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। দল হিসেবে খেলার গুরুত্বপূর্ণ যে অংশগুলোর প্রতি আপনি নিবদ্ধ থাকতে চান, সেগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করাটা দরকার। কারণ, এটা বেশ লম্বা একটা টুর্নামেন্ট। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করাটাই ব্যাপার।’
কন্ডিশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরেকটা সুবিধাও পাবে। বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে আছেন ভারতীয় কোচ ও সাবেক খেলোয়াড় শ্রীধরন শ্রীরাম। এর আগে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। উইলিয়ামসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিশ্বকাপ যেহেতু ভারতে আর শ্রীরাম কাজ করছেন বাংলাদেশ দলে, তাই চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের কন্ডিশন ও উইকেট তাঁর নখদর্পণে থাকবে। স্থানীয় এই কোচ শিবিরে থাকায় বাংলাদেশ দলও লাভবান হতে পারে।
টুর্নামেন্টে স্থানীয় কোচদের ভূমিকা কেমন থাকে, এমন প্রশ্নের জবাবে উইলিয়ামসনের উত্তর, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। ভেন্যুর ক্ষেত্রে স্থানীয় কেউ তো কাজে লাগেই। আর যে দেশে আছেন, সেই দেশ নিয়েও ভালো ধারণা পাওয়া যায়। আমার মনে হয় সব দলই যতটা সম্ভব হোমওয়ার্ক করে এসেছে এবং অভিজ্ঞতারও দ্বারস্ত হয়েছে। তাই আমি মনে করি, অবশ্যই (স্থানীয় কোচ থাকলে) তাতে লাভবান হওয়া যায়।’