রংপুর রাইডার্সের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এরপরও শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিতে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারাতেই হতো নুরুল হাসানদের। ছন্দে থাকায় রংপুরের জয় পেতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি। আগে ব্যাট করা চট্টগ্রামের ১৩২ রান ৪ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখে হেসে-খেলেই টপকে যায় রংপুর। টানা ষষ্ঠ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল রংপুর।
রংপুরের জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারের দৌড় থেকে ছিটকে গেল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে রংপুর-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এই ম্যাচের জয়ী দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে। হেরে যাওয়া দল বরিশালের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর ম্যাচে।
আজ রংপুর নতুন দুই বিদেশি টম কোহলার-কাডমোর ও রহমানউল্লাহ গুরবাজকে একাদশে রেখে দল সাজায়। রান তাড়ায় আফগান ব্যাটসম্যান গুরবাজ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সই পেয়েছে রংপুর। এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৩০ বলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ম্যাচটা হাতের মুঠোয় চলে আসে গুরবাজের এক ইনিংসেই।
এর আগে ১৩৩ রানের লক্ষ্যে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও রনি তালুকদার। ৪.৩ ওভারে নাঈম আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ২০ রান করেন। রনির ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২৭ রান। এরপর নুরুলের সঙ্গে ২৮ বলে ৪৫ রান যোগ করেন গুরবাজ। রান তাড়ার চাপটা সরে যায় এই এক জুটিতেই।
রংপুরের বোলাররা চট্টগ্রামকে এমন কোনো জুটি গড়তে দেননি। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে এসে সময় কাটিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। ২৯ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারায় দলটি। আফিফ হোসেন ক্রিজে এসে দুটি বাউন্ডারিতে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছেন। কিন্তু হারিস রউফের বাউন্সারে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন তিনি। আফিফ ৮ বলে খেলে করেছেন ১৫ রান।
ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামকে বিপদ–মুক্ত করার জন্য দলটির নিয়মিত অধিনায়ক শুভাগত হোম ছিলেন না। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে তিনি আজ খেলেননি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া জিয়াউর রহমানের ৩৩ রানের সৌজন্যে চট্টগ্রাম সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করায়। রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রকিবুল হাসান ও রউফ।