১০ বছর পর ২০১৯ সালে পাকিস্তানে ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট। পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেট না হওয়া এই ১০ বছরে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিসবাহ-উল-হক (৫৬), সরফরাজ আহমেদের (১৩) মতো অধিনায়কেরা। তবে কেউই দেশের মাঠে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেট প্রত্যাবর্তনের পর বাবর ছাড়া পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুধু আজহার আলী। তবে সেটা মাত্র ৩ টেস্টে। সেদিক থেকে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন বাবর আজম।
কারণ, ধারাবাহিকভাবে দেশের মাটিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর পাকিস্তান দল ঘরের মাটিতে খেলার সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশের মাঠে এখনো জয় পায়নি বাবরের আজমের পাকিস্তান।
যে কারণে সমালোচনাও কম শুনতে হচ্ছে না বাবরকে। ব্যাটে রানের ফুলঝুরি উপহার দিলেও কেন পাকিস্তান জয় পাচ্ছে না, এই প্রশ্নটা হচ্ছে জোরেশোরেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক তো সরাসরিই বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েই প্রশ্ন করেছেন।
দল নির্বাচনে বাবর কম্বিনেশনের চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কই প্রাধান্য দেন, এমনও অভিযোগও করেছেন। অভিযোগের জবাব অবশ্য শান্তভাবেই দিয়েছেন বাবর।
সেই সাংবাদিকের প্রশ্নটা ছিল এমন, ‘কিছু মানুষ বলছে দলে আপনার কর্তৃত্ব কমে যাচ্ছে। দল নির্বাচনে কম্বিনেশনের চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আপনি প্রাধান্য দেন। প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি এরই মধ্যে ওয়ানডে দলে সহ-অধিনায়কত্ব পরিবর্তন করেছেন। সামনে টেস্ট নেতৃত্বে আপনার জায়গায় নতুন কেউ কেউ আসবেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এর জবাবটা যেভাবে বাবর দিয়েছেন, ‘স্যার, কাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে, সে খবর তো আপনি জানেন। আমি জানি না। আমার কাজ শুধু ব্যাট হাতে পারফর্ম করা, দলকে পারফর্ম করতে সাহায্য করা।’
বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তান যে খুব খুশি নয়, সেটা নিশ্চিত। প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর শহীদ আফ্রিদি তো বাবরকে ভালো অধিনায়ক বানানোর চেষ্টার কথাও বলেছিলেন। সে চেষ্টা এত দ্রুতই শেষ করবে পাকিস্তান!