২৯৯—মাইলফলক ছোঁয়া দূরত্বে থেকে মিরপুর টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন কাগিসো রাবাদা। ৩০০তম টেস্ট উইকেট পেতে খুব বেশি সময় নিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই মুশফিকুর রহিমের স্টাম্প উড়িয়ে দিলেন তিনি।
মুশফিকের স্টাম্প উড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ বোলার হিসেবে কমপক্ষে ৩০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তির পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ডও গড়লেন রাবাদা। পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন টেস্টে বলের হিসেবে দ্রুততম ৩০০ উইকেটশিকারি বোলার।
ওয়াকারের এই মাইলফলক ছুঁতে লেগেছিল ১২৬০২ বল, রাবাদার লাগল ১১৮১৭ বল। মানে ৭৮৫টি কম। কমপক্ষে ৩০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যাঁর স্ট্রাইক রেট ৪০-এর নিচে!
২৯ বছর বয়সী রাবাদার ৩০০তম শিকার মুশফিকও ছিলেন মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক ছুঁতে মুশফিককে করতে হতো ৩৯ রান। কিন্তু ১১ রানে থাকতে তিনি বোল্ড হয়ে ফিরলেন। তাঁর আরও ২৮ রানের অপেক্ষাটা তাই অন্তত এই ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত বাড়ল। মুশফিকের পর লিটন দাসকেও আউট করেছেন রাবাদা।
টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কমপক্ষে ৩০০ উইকেট নেওয়া বোলারদের সবাই পেসার। প্রথম প্রোটিয়া বোলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন অ্যালান ডোনাল্ড, যিনি বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ। দ্বিতীয়জন শন পোলক, যিনি উত্তরসূরি রাবাদার মাইলফলক ছোঁয়াটা মাঠে থেকেই দেখলেন। পোলক যে এই সিরিজে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে আছেন!
৩০০ টেস্ট উইকেট পাওয়া পরের ৩ জন মাখায়া এনটিনি, ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেল। শেষের জন বর্তমানে ভারতের পেস বোলিং কোচ।