১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এ মৌসুমের পিএসএল। এরই মধ্যে ঘর গুছিয়ে ফেলেছে দলগুলো, শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতিও। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মধ্যে যেগুলো বাকি আছে, সেগুলোও দ্রুত সেরে ফেলছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর মধ্যে একটি ধারাভাষ্য প্যানেল গোছানো। আগামী সপ্তাহেই পিএসএলের অষ্টম আসরের ধারাভাষ্য প্যানেল ঘোষণা করার কথা তাদের।
এর আগে পিসিবির বিরুদ্ধে অন্য রকম একটি অভিযোগই করেছেন সংগঠনটির সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতি রমিজ রাজা। পিসিবি থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন প্রধান নাজাম শেঠি আর তাঁর দল নিয়ে অভিযোগের সুরে অনেক কথাবার্তা বলেছিলেন রমিজ। পিএসএলে ধারাভাষ্য দিতে হলে সেগুলোর জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে—এমন হুমকিই নাকি পিসিবি তাঁকে দিয়েছে। পিসিবি অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকারের আমলে পিসিবির প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রমিজ রাজা। এর আগে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার নিয়মিত ধারাভাষ্য দিতেন এবং ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাজ করতেন। কিন্তু ইমরানের পতনের পর শাহবাজ শরিফের সরকার আসার পর ক্ষমতাচ্যুত হন রমিজ রাজা। এখন আবার ধারাভাষ্যে ফিরতে চান তিনি।
এ বিষয়ে পিসিবির সাবেক প্রধান রমিজ রাজা নিজের ভক্তদের সঙ্গে ইউটিউবে এক প্রশ্নোত্তরপর্বে বলেছেন, ‘তারা চায় আমি আগে তাদের কাছে ক্ষমা চাই, এরপর ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য একটি আবেদন করি। ক্ষমা চাওয়ার পর তারা বিষয়টি ভেবে দেখবে।’ রমিজ এরপর ভক্তদের উদ্দেশে একটি প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কী মনে করেন যে আমার এটা করা উচিত?’
রমিজ রাজার এ অভিযোগের জবাব দিয়েছে পিসিবি। পিএসএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে রমিজের প্রতি কোনো বাধা না থাকার বিষয়টি পিসিবির এক প্রতিনিধি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘ধারাভাষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে রমিজ রাজার কোনো বাধা নেই। অন্তত পিসিবির দিক থেকে কোনো বাধা তো নেই–ই। তিনি যেখানে যখনই চান, ধারাভাষ্য দিতে পারেন। পিসিবি কোনো কিছুর জন্যই তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেনি। এর আগে সংবাদ সম্মেলনেও পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটি, নাজাম শেঠি এটা ব্যাখ্যা করেছে।’