প্রথমে নিউজিল্যান্ড, এরপর আফগানিস্তান। সাদা বলের ক্রিকেটের তারকায় ঠাসা ইংল্যান্ড দল বিশ্বকাপের শুরুতেই এই দুই দলের সামনে হেরে গেল। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারটাকে হোঁচট না বললেও আফগানদের কাছে হারকে তা বলা ছাড়া আর উপায় কী! তিন ম্যাচ খেলে জস বাটলারদের জয় মাত্র একটি। সেটাও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, দুই সংস্করণের চ্যাম্পিয়নদের এই দুটি হারই ইংলিশদের স্পিন–দুর্বলতা সামনে নিয়ে এসেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮২ রানে অলআউট হওয়া ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট নিয়েছেন কিউই স্পিনাররা। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৫ রানে থেমেছে ইংলিশ ইনিংস। সেখানে আফগান স্পিনারদের শিকার ৮ ইংলিশ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও ইংল্যান্ডকে থামাতে দলগুলো স্পিন ব্যবহার করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ ইংল্যান্ড দল নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণে এমন কথাই বলেছেন, ‘আপনি যখন ২৮৪ রান তাড়া করবেন, আপনি স্পিন দেখেশুনে খেলে পার করে দিতে পারবেন না। আপনাকে স্পিন ভালো খেলতে হবে।’ ইংল্যান্ড যখন ভারতের বিপক্ষে খেলবে, তাদের সামলাতে হবে কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বিশ্বমানের স্পিনারদের।
ভারতের স্পিন–ত্রয়ীর কথা মনে করিয়ে দিয়ে কাইফ যোগ করেন, ‘আপনাকে কুলদীপ, জাদেজার স্পিন খেলতে হবে ভারতের বিপক্ষে। অশ্বিনও খেলতে পারে। এখন থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে প্রতিটি দলই, বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের এই পারফরম্যান্সের পর।’
গতকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ২৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ২১৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। তিন আফগান স্পিনার মুজিব উর রেহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী মিলে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট শিকার করেন। দিল্লির উইকেটও আফগানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর বাইরে আফগানদের বিপক্ষে ইংলিশদের হারের পেছনে বড় আরও একটি কারণ খুঁজে বের করেছেন কাইফ। ইংল্যান্ড দলের সহ-অধিনায়ক মঈন আলীর একাদশে না থাকার প্রসঙ্গ টেনে কাইফ বলেন, ‘আপনি যখন আগে বোলিং করবেন, তখন আপনার নিজের একাদশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। মঈন আলী খেলুক আর না খেলুক, একটা ধারণা তো থাকা চাই। মঈন প্রথম ম্যাচ খেলেছে। এরপর আপনি তাকে বাদ দিয়েছেন। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কেমন হবে আমার একাদশ।’