টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এনেছে বিসিবি। চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছেন স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকা সৌম্য সরকার ও শরীফুল ইসলাম। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানিয়েছে বিসিবি।
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই সুপার টুয়েলভে থাকা দেশগুলো দল বদলাতে পারত। আজ চূড়ান্ত দল আইসিসির কাছে দিয়েছে বিসিবি।
এশিয়া কাপের মাধ্যমে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল সাব্বিরের। সেখানে এক ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তিনি। এশিয়া কাপ থেকে যে বিকল্প ওপেনার খেলানো হচ্ছিল, সাব্বির ছিলেন সে পরিকল্পনায়। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরার পর ওপেনিংয়ে টানা ৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩১ রান করেন। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়ায়ও যাওয়া হচ্ছে না তাঁর।
সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার দাবিটা জোরালো করছিলেন শরীফুল। অবশ্য তাঁকে নিতে গেলে জায়গা ছাড়তে হতো মূল দলে থাকা যেকোনো এক পেসারকেই। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় ছিল ইবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের নাম। সাইফউদ্দিনকেই শেষ পর্যন্ত জায়গা ছাড়তে হলো।
শরীফুলের বিপরীত অবস্থাই ছিল এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের, ফর্ম পক্ষে ছিল না সেভাবে। চোট কাটিয়ে দলে ফেরার পর ৫ ম্যাচে ৬১ গড় ও ১০.৮৭ ইকোনমি রেটে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে ৩ ইনিংসে করেছেন ৪ রান।
প্রাথমিকভাবে ঘোষিত দলে স্ট্যান্ডবাইয়ে সৌম্য ও শরীফুল ছাড়াও স্ট্যান্ডবাইয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন। এখন সাব্বির ও সাইফউদ্দিন স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকবেন কি না, সেটি নিশ্চিত করেনি বিসিবি।
সাব্বির ও সাইফউদ্দিন দুজনই নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছে বিসিবি। এদিকে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড সময় ভোরের বিমানে আজ অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে যাবে। সেখানে ১৭ ও ১৯ অক্টোবর আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সাকিব আল হাসানের দল।
বিশ্বকাপ বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেট কিপার, সহ-অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।