বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার কি শচীন টেন্ডুলকারের মতো দীর্ঘ হবে?
টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে ৪০ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে অভিষিক্ত টেন্ডুলকারের ক্রিকেটজীবন ছিল ২৪ বছরের। টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করেছেন, খেলেছেন ২০০ টেস্ট।
কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির অর্জনে টেন্ডুলকারের চেয়ে খুব বেশি দূরে নেই। ৭৫ সেঞ্চুরি করে টেন্ডুলকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন শুধু তিনিই। আর ২৫টি সেঞ্চুরি পেতে কোহলিকে আর কত দিন খেলতে হবে? উত্তরটা বলে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।
অদ্ভুত সব মন্তব্য করে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় ফেলতে ‘ওস্তাদ’ শোয়েব আখতার। তিনিও খুব করেই চান, কোহলি আরও অন্তত ১০ বছর খেলা চালিয়ে যান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করুন।
কিন্তু কোহলির প্রতি এই চাওয়ার মধ্যে ভারতকে একটা খোঁচাও মেরে দিয়েছেন শোয়েব। কোহলিকে নিয়ে তাঁর অভিমত, ‘আমি কোহলির কাছে চাইব, সে যেন ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত খেলাটা চালিয়ে যায়। আমি মনে করি, সে যখন অবসরে যাবে, তত দিনে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ১০০ সেঞ্চুরি হয়ে যাবে।’
পরের মন্তব্যেই দিয়েছেন খোঁচা, ‘তোমার হাতে আরও ৮–৯ বছর আছে। ভারত তোমাকে দরকার হলে হুইলচেয়ারে বসিয়েও খেলাবে। ভারতই তোমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি করিয়ে দেবে।’ কাতারের দোহায় লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগে খেলতে এসে এ কথা বলেছেন শোয়েব।
সম্প্রতি দীর্ঘ খরার পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি। আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন ১৮৬ রানের ইনিংস। এটি ২০১৯ সালে কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর কোহলির প্রথম টেস্ট শতক। এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৫।
পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার কোহলিকেও হালকা খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি মনে করেন, ভারতীয় তারকা যদি তাঁদের সময়ে খেলতেন, তাহলে এত সেঞ্চুরি করতে পারতেন না, ‘আমার, ওয়াকার আর ওয়াসিম ভাইয়ের ফর্ম তুঙ্গে থাকা অবস্থায় যদি কোহলি খেলত, তাহলে এত সেঞ্চুরি সে করতে পারত না। আমরা তিনজনই পাঞ্জাবি ভাষায় প্রচুর স্লেজিং করতাম মাঠে। আমার মনে হয়, সেই স্লেজিংয়ে কোহলি মাথা গরম করে ফেলত। আমরা মাঠে কোহলিকে হয়তো প্রচুর জ্বালাতাম।’