বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টিম সাইফার্ট। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান দেন রিশাদ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিন অ্যালেন আউট হলেও সাইফার্ট পাওয়ারপ্লেতে ছিলেন বেশ আগ্রাসী। প্রথম ৬ ওভারে ১৯ বলেই ৪২ রান করে ফেলেন তিনি। পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই রিশাদকে আনেন অধিনায়ক নাজমুল। দীর্ঘদেহী লেগ স্পিনার উইকেটের বাউন্স কাজে লাগান। সাইফার্ট বলেছেন, রিশাদ কাজে লাগিয়েছেন মাঠের বাতাসও।
ম্যাচ শেষে সাইফার্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে বেশ ভালো বোলিং করেছে। সে বাতাসের গতির দিকে বোলিং করছিল, বাতাস বেশ জোরেই ছিল। সোজা মারা কঠিন ছিল। বাউন্ডারির আকারও এখানে ভালোই বড়, আবার জোরে বাতাস ছিল। সে ভালো করেছে। বাতাসে ভালো করেছে। ছেলেরা তাকে ভালোই খেলেছে। তবে তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ভালো বোলিংয়ের জন্য।’
সপ্তম ওভারে রিশাদ এসে দেন মাত্র ৩ রান। পাওয়ারপ্লের মধ্যে মাত্র তিনটি ডট খেলা সাইফার্ট সেই ওভারের পর তানজিমের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে থামেন ২৩ বলে ৪৩ রান করে। পাওয়ারপ্লের পর বাংলাদেশও ফিরে আসে দারুণভাবে, পরের ৫ ওভারে ওঠে মাত্র ১৮ রান। নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ তৈরি করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন রিশাদই।
পাওয়ারপ্লেতে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে ছিল। এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ালে ম্যাচে বিরাজ করছিল সমান অবস্থা। কিন্তু আগে থেকেই পূর্বাভাসে থাকা বৃষ্টি সে ম্যাচ হতে দেয়নি শেষ পর্যন্ত। সে পর্যন্ত তাদের ব্যাটিং ভালোই ছিল, সাইফার্ট বলেছেন এমন, ‘টসে যে–ই জিতুক না কেন, বোলিংই নিত আবহাওয়ার কারণে। তবে ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টির কথা এত ভাবলে আসলে চলে না। ১১ ওভারে ভালোই করেছি। ভালো শুরু পেয়েছি। একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। বৃষ্টি জোরে হচ্ছিল। এর মধ্যে কীভাবে খেলবেন, সেটি কঠিন হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যে। তবে ছেলেরা ভালো করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুরো ম্যাচটি হলো না।’
ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মাথায় আঘাত পেয়েও আলোচনায় ছিলেন সাইফার্ট। শরীফুল ইসলামের বলে জোরের ওপর ড্রাইভ করেছিলেন মিচেল, সেটিই গিয়ে লাগে তাঁর হেলমেটের এক পাশে। সে সময় কিছুক্ষণ বন্ধও থাকে খেলা। সাইফার্ট অবশ্য খেলা চালিয়ে গেছেন এরপরও। সেই আঘাত নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একটু টানটান আছে। বাকি সব ঠিক আছে। আশা করি, খারাপ কিছু নয়।’
সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে, ৩১ ডিসেম্বর।