চারদিকে বিদায়ের সুর। নিজ দল অস্ট্রেলিয়া, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায় আয়োজনে খামতি রাখেনি। সঙ্গে ঘরের মাঠের সমর্থকেরা তো ছিলই। সাবেক থেকে বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়ার্নারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। এরই মধ্যে ওয়ার্নার সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন—এখনো কিন্তু শেষ হয়নি, বাকি আছে আরও একটি অধ্যায়।
ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আসলেই তো এখানেই শেষ হয়নি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ডেভিড ওয়ার্নার–অধ্যায় শেষ। তবে টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। সিডনি টেস্ট শেষের এক দিন পর ইনস্টাগ্রামে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার। সঙ্গে সতীর্থদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন এই ওপেনার।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘দুটি অধ্যায় শেষ হয়েছে, একটি এখনো বাকি। সবাইকে শুধু ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাইকে ভালোবাসি।’ ওয়ার্নার এখন পর্যন্ত দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন। টি-টোয়েন্টিতে দুবার জেতার সুযোগ পাচ্ছেন আগামী জুনে।
ওয়ার্নার টেস্টে ১১২ ম্যাচে ২০৫ ইনিংসে ৪৪.৫৯ গড়ে ৮৭৮৬ রান করেছেন। ২৬ শতক ও ৩৭টি অর্ধশতক। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়ার্নার। কিন্তু ওপেনারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আর কেউ টেস্টে ওয়ার্নারের মতো এত রান করতে পারেননি।
ওয়ার্নার টেস্ট দলের সতীর্থদের প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। তিনি লিখেছেন, ‘অজি টেস্ট ক্রিকেটে দলের সঙ্গে আমার অধ্যায় শেষ হয়েছে, ব্যাগি গ্রিন পরার অবিশ্বাস্য গৌরব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই মহান জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই দলের অংশ হওয়া আসলে স্বপ্ন পূরণের মতো। এযাত্রায় আমি যে পারস্পরিক আস্থা ও অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি, সত্যিই সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ার্নার যোগ করেছেন, ‘আমি ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে এই দলের বর্তমানে ও সামনে সমৃদ্ধি দেখার জন্য উন্মুখ আছি।’
লোকে তাঁকে কীভাবে মনে রাখবে, এ ব্যাপারে তাঁর নিজের কী প্রত্যাশা? এমন প্রশ্নের উত্তরে গতকাল তিনি বলেছিলেন, ‘রোমাঞ্চকর ও বিনোদনদায়ী। যেভাবে খেলেছি, তাতে লোকের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি এবং আশা করি তরুণেরাও আমাকে অনুসরণ করবে। সাদা বল থেকে টেস্ট ক্রিকেট—এটাই আমাদের খেলার শীর্ষবিন্দু। তাই কঠোর পরিশ্রম করো এবং লাল বলের ক্রিকেট খেলো; কারণ, এটাও মজার।’