দরকার আর মাত্র ১৬ রান! তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হবেন বিরাট কোহলি। ৩.২ ওভারে রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন কোহলি। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের করা প্রথম বলেই কাভারে ক্যাচ দেওয়া থেকে একটুর জন্য বেঁচে যান। গ্যাপ দিয়ে চার হয় সেটি। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ উঠেছিল। দুর্ভাগ্য, বল বেশি ওপরে ওঠায় ইয়াসির আলী লাফ দিয়েও ধরতে পারেননি। এরপর অবশ্য উইকেটে ‘সেট’ হতে কোহলির আর সমস্যা হয়নি।
তাসকিনের করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে রেকর্ডটি গড়ে ফেলেন কোহলি। ব্যাক অব দ্য লেংথের বলটি মিড উইকেটে ঠেলে একটি রান নিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান। কোহলি টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনেকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচ খেলে ১০১৬ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক। কোহলি এই টুর্নামেন্টে আজ তাঁর ২৫তম ম্যাচেই জয়াবর্ধনেকে টপকে শীর্ষে উঠলেন। ইনিংসের হিসেবেও জয়াবর্ধনের চেয়ে এগিয়ে কোহলি। জয়াবর্ধনের লেগেছে ৩১ ইনিংস, কোহলি আজ নিজের ২৩তম ইনিংসেই পেছনে ফেললেন তাঁকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শীর্ষ ১০ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ‘নটআউট’ থাকায় কোহলির ধারেকাছেও কেউ নেই। ১১ বার নটআউট থেকেছেন কোহলি। শীর্ষ দশের মধ্যে রোহিত শর্মা সর্বোচ্চ আটবার নটআউট থেকেছেন। শীর্ষ দশের মধ্যে স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৪৩.৪০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৩০ ম্যাচে ৭১৭ রান নিয়ে (রান তোলায়) আটে ডি ভিলিয়ার্স। স্ট্রাইক রেটে ডি ভিলিয়ার্সের পরই আছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার (১৪৩.৩১) এবং তারপর ক্রিস গেইল (১৪২.৭৫)।
তবে রান তোলায় তিনে গেইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ৩৩ ম্যাচে ৩১ ইনিংসে ৯৬৫ রান তুলেছেন। ৩৭ ম্যাচে ৯২১ রান নিয়ে চারে রোহিত শর্মা। পাঁচে থাকা তিলকরত্নে দিলশানের সংগ্রহ ৩৫ ম্যাচে ৮৯৭ রান। ৩৩ ম্যাচে ৭৮১ রান নিয়ে ছয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। সাতে আছেন একজন বাংলাদেশি। হ্যাঁ, সাকিব আল হাসান! ৩৫ ম্যাচে ৩৪ ইনিংসে ৭২৯ রান তুলেছেন সাকিব। ১২২.৯৩ স্ট্রাইক রেটে ২৫.১২ গড়ে এই রান করেছেন সাকিব।
ব্যাটিং গড়ে কোহলির ধারেকাছেও কেউ নেই। ৮৪.৮৩ ব্যাটিং গড়! শীর্ষ দশে আর কারও ব্যাটিং গড় ৪০–এর ঘরেও নেই। কোহলি আজও যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে ব্যাটিং গড় আরও বাড়াই স্বাভাবিক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। ভারতের সংগ্রহ তখন ৯.২ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮।