মাহমুদউল্লাহ ৮, সৌম্য ২

মিরপুরের এই চিরায়ত উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দলকে ১৫৮ রান তাড়া করে হারানোর কৃতিত্ব অবশ্যই জিম্বাবুয়েকে দিতে হবে। ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী করতে গিয়ে বাংলাদেশ দল বোধ হয় বোলিংয়ের শক্তি কিছুটা খর্ব করেছে। যে সত্যটার মুখোমুখি হতে চায়নি দল, শেষ পর্যন্ত সেটিরও মুখোমুখি হতে হলো।

তানজিদ হাসান ২/১০

ইনিংসের শুরুতেই দীর্ঘকায় মুজারাবানির এমন আঁটসাঁট লেংথ বলে এ ধরনের শট খেলা বোধ হয় একটু কঠিনই। অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই তাকে শট নির্বাচনে আরও পরিপক্ব করে তুলবে।

সৌম্য সরকার ২/১০

আউট হয়েছে আলগাভাবে। শুরুতে ব্যাটে-বলে ভালোই হচ্ছিল। পরে স্লিপে দাঁড়িয়েও ভালো রিফ্লেক্সের পরিচয় দিতে পারেনি।

নাজমুল হোসেন ৫/১০

দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে একটু ধরে খেলার চেষ্টা করেছে। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করতে চাইলে বড় শট খেলায় আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

তাওহিদ হৃদয় ২/১০

লেগ সাইডে তার শক্তির কথা জেনে গেছে বলে অফসাইডেই এখন বেশি খেলানো হচ্ছে। আশা করি পরপর দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় সে হতাশ হবে না।

কিছুটা ওপরের দিকে ব্যাটিং করার যোগ্যতা যে তার আছে, সেটি দেখানোরও সুযোগ পেল মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ ৮/১০

শুধু ৫০-এর ওপর রান নয়, ইনিংসের শুরুতেই থমকে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে গতি এনে দেওয়ার কৃতিত্বও মাহমুদউল্লাহর। কিছুটা ওপরের দিকে ব্যাটিং করার যোগ্যতা যে তার আছে, সেটি দেখানোরও সুযোগ পেল।

সাকিব আল হাসান ৮/১০

পাওয়ার হিটিংয়ে তার সামর্থ্যের পূর্ণ ব্যবহার দলের বড় সংগ্রহের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তবে সে-ই দিনের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার।

জাকের আলী ৭/১০

তার কারণেই ভালো একটা মোমেন্টাম নিয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংস শেষ করতে পারে বাংলাদেশ। অবশ্য উইকেটকিপিংয়ে আরও নিখুঁত হওয়ার সুযোগ আছে।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২/১০

অনেক ব্যয়বহুল বোলিং। আক্রমণাত্মক নয়, নিজেকে একজন রক্ষণাত্মক বোলার ভাবাই বোধহয় তার জন্য মঙ্গলজনক। নিজের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটিও মনে রাখতে হয়।

মেহেদী হাসান ২.৫/১০

দলে তাকে নেওয়া হয় রহস্য-বোলার হিসেবেই। কিন্তু এ ম্যাচে তাকে প্রথাগত অফ স্পিনারের মতো বোলিং করতে দেখলাম। নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারেনি।

ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী করতে গিয়ে বাংলাদেশ দল বোধ হয় বোলিংয়ের শক্তি কিছুটা খর্ব করেছে

মোস্তাফিজুর রহমান ৭/১০

আইপিএলে যাওয়ার আগের তুলনায় এখনকার বোলিং অনেক বেশি কার্যকর। তবে তার কাছ থেকে আরও ইনটেন্ট আশা করি।

রিশাদ হোসেন ৬/১০

বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে ওকে আরও প্রো–অ্যাক্টিভ (তড়িৎকর্মা) হতে হবে।