এ মুহূর্তে আমাদের যে অবস্থা, মোটামুটি এটিই সেরা দল। সে অর্থে ‘পারফেক্ট’ বলে তো কিছু নেই। বিশ্বকাপের শেষে হয়তো সত্যিকারের মূল্যায়ন করতে পারব। তবে কতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেল। তামিম ইকবাল না থাকাতে ওপেনিংয়ে একটা শূন্যতা। একজন ফর্মে নেই, আরেকজন একেবারেই নতুন।
সব মিলিয়ে দলে আটজন ব্যাটসম্যান, চারজন স্পিনার, পাঁচজন পেসার, দুজন উইকেটকিপার। দলের ভারসাম্য নিয়ে সংকট নেই। তবে ব্যাটসম্যানদের কেউ ফর্মে আছে, কেউ নেই। নিকট অতীতের ঘটনাপ্রবাহ দলকে পিছিয়ে দিয়েছে নিশ্চিতভাবেই। সত্যিকারের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া উচিত ছিল, সেটি হয়নি। বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই গুছিয়ে নিতে হবে, যেটি বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
শেষ পর্যন্ত আফিফ, শামীম, মোসাদ্দেক, নুরুল বা ইয়াসিরকে বাদ দিয়ে মাহমুদউল্লাহকেই নেওয়া হয়েছে। তাকেই যদি নেওয়া হলো, তাহলে গত ছয় মাসে তাকে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো না কেন। এসব তার ওপর চাপ বাড়িয়ে দেবে। তবে পার্টটাইমার হিসেবে সে বোলিং করবে কি না, সেটি নিশ্চিত না হলেও তার বোলিং ফিটনেসটা আছে।
একইভাবে ওপেনিংয়ে নাঈম, সৌম্যর পেছনে সময় ব্যয় করা কতটা কাজে লাগল। এর চেয়ে তানজিদের পেছনে সময় ব্যয় করলে দল ও তার জন্য কাজে দিত আরও। শেষ কয়েকটি সিরিজ ও টুর্নামেন্ট দেখার পর এখন প্রশ্ন জাগছে—এ ম্যাচগুলো কতটা কমপিটিটিভ ম্যাচ হিসেবে খেলা হয়েছে বা কতটা সিলেকশন ম্যাচ হিসেবে খেলা হয়েছে। সে কারণেই হয়তো ম্যাচগুলোতে ফল আসেনি।
সব মিলিয়ে দলটি ভালোই, কিন্তু কতটা গুছিয়ে খেলতে পারবে, সেটির ওপরই সব নির্ভর করছে।
✍️ নাজমূল আবেদীন, ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচ