প্রায় আড়াই মাস পর ব্যাট হাতে তামিম ইকবালের ফেরা। মাসের হিসাবে সংখ্যাটা খুব বেশি বড় না হলেও, এর মধ্যে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা এই সময়টাকে বিশেষ করে তুলেছে। তামিম ব্যাট হাতে ফিরলেন, ৪৪ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতও দিলেন। তবে যে চোট নিয়ে এত কথা সেই চোট থেকে এখনো পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি তামিমের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ওপেনার জানিয়েছেন, পিঠে এখনো অস্বস্তি আছে তাঁর।
দীর্ঘদিন ধরেই তামিম পিঠের সমস্যায় ভুগছিলেন। এই চোটের কারণে খেলতে পারেননি এশিয়া কাপেও। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পেছনেও যে এই চোটের ভূমিকা আছে, তা বললেও হয়তো ভুল হবে না। সেই চোট কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও মাঠে ফিরেছিলেন। যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় ব্যাটিং পরীক্ষাটা আর হয়নি। যেটা হলো আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। সে পরীক্ষায় বোধ হয় তামিম ইকবাল ভালোভাবেই উতরে গেলেন।
বাংলাদেশের এই ওপেনার খেলছেন ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। ইনিংস খুব বড় না হলেও এই ইনিংসে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম। তামিম নিজেও ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত, তবে তাঁর ভাবনায় সেই চোটও আছে, ‘সত্যি বলতে ফিরে ভালোই লাগছে। প্রথম ম্যাচে ৩০ ওভার, আজ ৫০ ওভার ফিল্ডিংয়ের পর ২০ ওভার ব্যাটিং করা, ভালোই লাগছে। তবে অনেক অস্বস্তি আছে এখনো পিঠে। ফিজিও ও আমি নিজেও এই অস্বস্তি কাটানোর চেষ্টা করছি। আমার শরীর কীভাবে সাড়া দেবে, সেটা নিয়ে আমাদের মেডিকেল টিমের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
এত দিন পর মাঠে ফেরার আগে কোনো স্নায়ুচাপে ভুগেছেন কি না এই প্রশ্নে তামিম বলেছেন, ‘ সত্যি বলতে নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি আরেকটি ম্যাচ ছিল শুধু, সত্যি বলা হবে না। আমি যখন ব্যাটিং করতে নামি, নার্ভাস ছিলাম। তবে প্রথম ওভারের পর সেটি কমে এসেছে। বল মারতে পেরে আবার ভালো লাগছে। ৪৪ রান করেছি বলে নয়, যদি ২০ রানও করতাম, যেভাবে নতুন বল ফেস করলাম, যেভাবে কোয়ালিটি পেস অ্যাটাক ফেস করলাম, অবশ্যই ভালো অনুভব করছি। এত দিন পর আসলে যেকোনো ব্যাটসম্যানের একটু নার্ভাসনেস থাকবে, আমি ভিন্ন কেউ নই।’