প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছেন আশরাফুল ইসলাম। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাব্বির হোসেন ও মাহিদুল ইসলাম। সিলেটে রাজশাহীকে হারাতে রান তাড়ার ২৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙতে হবে খুলনাকে।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে আজ যখন তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হলো বরিশালের স্কোর ২২/০। তৃতীয় দিনের শেষে সেই বরিশালের স্কোর ৩২/০। দিন শুরুর স্কোরটা প্রথম ইনিংসে, দিন শেষের স্কোরটা দ্বিতীয় ইনিংসের। ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ফলো অনে পড়েছে বরিশাল। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে আগামীকাল শেষ দিনে আরও ১৫৭ রান করতে হবে দলটিকে।
গতকাল ৫ উইকেটে ৪০৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল মহানগর। সেদিন ২২ রান তুলে ফেলা বরিশাল আজ প্রথম ইনিংসে অলআউট ২১৯ রানে। ১৮৯ রানে এগিয়ে থাকা মহানগর বরিশালকে ফলো অন করায়।
বরিশালের প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৩টি যুব টেস্ট, ৫টি যুব ওয়ানডে ও ১টি যুব টি-টোয়েন্টি খেলা ২০ বছর বয়সী আশরাফুল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকেই পেলেন ৫ উইকেট।
বরিশালের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেছেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন। ৮ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ইফতেখারের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। উদ্বোধনী জুটিতে আবদুল মজিদের সঙ্গে ৭৫ রান যোগ করা এই বাঁহাতি ফেরেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলকে ১৭০ রানে রেখে।
ঢাকা মহানগর ১ম ইনিংস: ৪০৮/৫ ডি.
বরিশাল: ৭৭.৫ ওভারে ২১৯ (ইফতেখার ৯৮, মঈন ৩৫; তানভীর ২৬; আশরাফুল ৫/৭৩, মানিক ২/২২, আরিফ ২/৫৭) ও ২১ ওভারে ৩২/০ (মজিদ ১৫*, ইফতিখার ১৩*)।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৫১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রাজশাহী। খুলনা সেটি করে ফেললে নতুন রেকর্ডই দেখবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা যে ৪৫১ রানের। ২০০০-০১ মৌসুমে ধানমন্ডিতে বিমানের দেওয়া ৪৫১ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে গিয়েছিল ঢাকা মহানগর। সফল রান তাড়ায় সেঞ্চুরি করেছিলেন মহানগরের তিন ব্যাটসম্যান মেহরাব হোসেন (১১৪), আল শাহরিয়ার (১২৮*) ও নাঈমুর রহমান (১০৬)। এ ছাড়া ৮০ রান করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
মেহরাব-আশরাফুলদের সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করা কঠিনই হবে খুলনার জন্য। আজ তৃতীয় দিনটা বিনা উইকেটে ১২০ রান নিয়ে শেষ করেছে দলটি। হাতে ১০ উইকেট থাকলেও শেষ দিনে করতে হবে আরও ৩৯৬ রান। কাজটা কঠিন, খুবই কঠিন।
সেই কঠিন কাজের ভিতটা অমিত মজুমদারকে নিয়ে গড়ার কাজ শুরু করেছেন সৌম্য সরকার। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান ৯৮ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত আছেন। অমিত অপরাজিত ১০৬ বলে ৩৭ রান করে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩২ রানের লিড পেয়েও খুলনাকে ফলো অন না করিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৮৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। দলটির ওপেনার সাব্বির হোসেন করেছেন ১৫০ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ইনিংসও। ১৩৯ বলে ইনিংসে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
রাজশাহী: ৪২৬ ও ৫০ ওভারে ২৮৩/৬ ডি. (সাব্বির ১৫০, প্রিতম ২৬; নাহিদুল ২/৬১)।
খুলনা: ১৯৪ ও ৩৪ ওভারে ১২০/০ (সৌম্য ৮০*, অমিত ৩৭*)।
মাহিদুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে ভর করে খুলনায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২২৪ রান করে ঢাকা বিভাগ। ২৩৩ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১১৮ রান করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলেছে।
সিলেট: ১৪৬ ও ২১ ওভারে ৫২/০ (তৌফিক ৩০*, পিনাক ১৯*)।
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৭৭.১ ওভারে ২২৪ (মাহিদুল ১১৮, রনি ২৯; খালেদ ৪/৬১, রাহাতুল ৩/১৭)।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে মাঠে গড়ানো ম্যাচে আজ ৯ উইকেটে ২৭৩ রান তুলে প্রথম ইনিংসটা ঘোষণা করে দেয় রংপুর। এরপর চট্টগ্রামকে ১০৩ রানে অলআউট করে ১৭০ রানের লিড নিয়েছে দলটি। রংপুর চট্টগ্রামকে ফলো অন করাবে কি না কে জানে, চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পরই শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা।
রংপুর ১ম ইনিংস: ৫৮ ওভারে ২৭৩/৯ ডি. (খালিদ ৬০, মিম ৫৫*, রবিউল ৩৫, ফাহাদ ৪/৬২, ইফতেখার ৩/২৫)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৭.৫ ওভারে ১০৩ (সাদ্দাম ৩৪; রিজওয়ান ২/১, আল মামুন ২/২২, শরীফুল ২/২২, রিশাদ ২/২৪, মুকিদুল ২/২৪)।