সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবার টেস্ট খেলতে নামছে পাকিস্তান দল। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের সর্বশেষ টেস্টটি ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ কেমন হতে পারে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণ করেছে উইজডেন ডটকম—
যাঁরা আছেন
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘোষিত দলে বোলার হিসেবে আছেন আমের জামাল, আবরার আহমেদ, খুররম শেহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আলী, নাসিম শাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। এ ছাড়া হাত ঘোরাতে পারেন আগা সালমান, সাইম আইয়ুব ও সৌদ শাকিলও।
দেশের মাটিতে পাকিস্তানের সর্বশেষ টেস্টে বোলিং আক্রমণে পেসার হিসেবে ছিলেন নাসিম, হামজা ও হাসান আলী। স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে খেলেছিলেন আবরার, অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছিলেন সালমান। চোটের কারণে ছিলেন না আফ্রিদি। পাকিস্তানে এমনিতেও পিচের ধরন খুব একটা বদলায় না বলে বোলিং আক্রমণে খুব বড় পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনা কম।
এবার আফ্রিদির খেলা একরকম নিশ্চিতই। অস্ট্রেলিয়ায়ও বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন, যদিও ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের কারণে শেষ টেস্টে খেলেননি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে চোটের কারণে না থাকা নাসিমও প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকবেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে খেলছেন তিনি। নাসিমের সঙ্গে শাহিনের খেলা ফাস্ট বোলিংয়ে নিশ্চিতভাবেই শক্তি বাড়াবে পাকিস্তানের।
আবরার ছাড়া আর কোনো স্বীকৃত স্পিনারকে দলে রাখেনি পাকিস্তান, ফলে এই লেগ স্পিনারের খেলার সম্ভাবনা অনেক। বোলিং–সামর্থ্যের কারণে সালমানও জোরালো দাবি জানাবেন।
প্রশ্ন যেখানে
পাকিস্তানের সামনে কঠিন প্রশ্নটা মূলত তৃতীয় পেসার কে হবেন, তা নিয়ে। মোহাম্মদ আলীর সর্বশেষ টেস্ট ছিল ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সম্প্রতি ঘরোয়ায় দারুণ পারফরম্যান্সের পর দলে আসেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে শেহজাদ খেলেন একটি টেস্ট। তৃতীয় পেসার হিসেবে এই দুজনের ঠিক প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা নয়।
ফলে জামাল ও হামজার মধ্যে মূলত একজনকে বেছে নেওয়া হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় অভিষেক ছিল জামালের, ৩ টেস্টে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। সিডনিতে নয়ে নেমে ৮২ রানের ইনিংসসহ ১৪৩ রানও করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে নাসিমের মতো এ মুহূর্তে শাহিনসের হয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলছেন হামজাও, প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৩১ বছর বয়সী এই পেসার এখন পর্যন্ত ৫ টেস্টে নিয়েছেন ৯ উইকেট। তবে বাঁহাতি হিসেবে এগিয়েও থাকতে পারেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত জামাল ও হামজার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হলে ব্যাটিংয়ের কারণে এগিয়ে থাকতে পারেন জামাল। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম আর একটু ভিন্ন ধরনের স্কিলের কারণে হামজাও পেছনে থাকবেন না। তার ওপর জামালকে দলে রাখা হয়েছে ‘ফিট হয়ে থাকা সাপেক্ষে’। তিনি শেষ পর্যন্ত ফিট না হলে হামজাকেই দেখা যেতে পারে প্রথম টেস্টে।