ভারতের শহর ভোপালের ১৫ বছর বয়সী কিশোরী আলিশা। চার বছর আগে থেকে সে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের পাঁড় ভক্ত। বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাবরদের প্রথম ম্যাচের পর থেকেই ইন্টারনেটে বেশ আলোচিত হচ্ছে এই কিশোরী। বাবরের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশে মাকে সঙ্গে নিয়ে ভোপাল থেকে হায়দরাবাদে যাত্রা করেছে আলিশা।
ভারতের দুটি শহর হলেও ভোপাল থেকে বাস বা ট্রেনে হায়দরাবাদ যেতে সময় লাগে ১৫ ঘণ্টার বেশি। এই লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে বাবরের জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করতে এসেছে আলিশা। তার ফোনের ব্যাক কভারেও রয়েছে বাবরের ছবি। মাঠে বসেই পাকিস্তান–নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ উপভোগ করেছে আলিশা। মাথায় স্কার্ফ পরা আলিশার হাতে দেখা গেছে পাকিস্তানের পতাকাও। পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্তদের ভারতে যেতে সমস্যা পোহাতে হলেও ভারতের মাটিতে এমন সমর্থক পেয়ে নিশ্চয়ই আপ্লুত হবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
বাবরের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে আলিশা বলেছে, ‘আমি ৪ বছর ধরে বাবরের ভক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি একটা ফ্যানপেজও চালু করেছিলাম। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে আইডি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’
ভারতে বাড়ি হয়েও পাকিস্তানের ভক্ত? দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরোধপূর্ণ অবস্থার মধ্যে এমন কিছু একটু অবাক করার মতোই। তবে আলিশার কাছে ‘শত্রুভাবাপন্ন’ দুটি দেশই পাচ্ছে সমান মর্যাদা। তার প্রত্যাশা, একদিন দেশ দুটির মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটবে, ‘মানুষ দুটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে, এটা দেখলে ভালো লাগে। আমি প্রথমত একজন ভারতীয়। আমি শুবমান গিল এবং বিরাট কোহলিকে পছন্দ করি। কিন্তু আমি একইভাবে পছন্দ করি বাবরকেও। আমি আশা করি, দুই দেশের সম্পর্ক একদিন ভালো হবে।’
তবে পরিবারের মধ্যে আলিশাই একমাত্র পাকিস্তানের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারের ভক্ত, তা কিন্তু নয়। তার মা–বাবাও পাকিস্তান ক্রিকেটের ভক্ত ছিলেন। মায়ের পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন শহীদ আফ্রিদি এবং বাবার মুগ্ধতা ছিল জাভেদ মিঁয়াদাদকে ঘিরে।
আলিশা এখন অপেক্ষায় আছে বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তানের দ্বৈরথ উপভোগের। যদিও এখন পর্যন্ত টিকিট মেলেনি তার। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমের খবর হওয়ার পর টিকিট পেতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয় আলিশার। ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।