ছবির গল্পে নো বল নাটকের পর বাংলাদেশের জয়

পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়েকেও মনে হচ্ছিল বড় পরাশক্তি। উত্থান–পতনের সেই ম্যাচ শেষ বল পর্যন্ত, এমনকি তারপরও জমেছে বেশ। ভাগ্যের দোলকটা একবার বাংলাদেশের দিকে হেলেছে, তো পরের মুহূর্তে জিম্বাবুয়ের দিকে। অবশেষে নো বল কাণ্ডের পর স্বস্তির জয়টাও পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব–তাসকিনদের লড়াইয়ে টিকে থাকার সেই জয়ের গল্প দেখে নিন ছবিতে ছবিতে।
অনেক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ছিল নাজমুল হোসেনের। দারুণ এক ফিফটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে সমালোচনার জবাব কিছুটা হলেও দিতে পেরেছেন এই ওপেনার। ৫৫ বলে ৭১ রান করেছেন নাজমুল। তাঁর এই ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ
৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর নাজমুল–সাকিব জুটিতেই ধাক্কা সামাল দেয় বাংলাদেশ। ৪৪ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ২০ বলে ২৩ রান করে সাকিব ফিরলে ভাঙে জুটি
ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৯ রান করেন আফিফ হোসেন। বাংলাদেশকে দেড় শ ছুঁতে সাহায্য করেছে আফিফের ১ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসটি
তাসকিনের উল্লাস! ১৭ রানের মধ্যে ২ ওপেনারকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা তাসকিন আহমেদই। উদ্‌যাপনটাও তাই বাঁধনহারাই হলো
এক ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের দুই উইকেট। যার একটি আবার অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা সিকান্দার রাজার। মোস্তাফিজ–সাকিবদের উদ্‌যাপনে আনন্দের সঙ্গে ছিল স্বস্তির ছাপও
ম্যাচের পুরোটা সময় গ্যাবার গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। তাঁদের বাংলাদেশ–বাংলাদেশ ধ্বনি সাকিবদের দিয়েছে বাড়তি অনুপ্রেরণা
শেষ হয়েও হলো না শেষ! বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মোসাদ্দেকের উদ্‌যাপন। একটু পর অবশ্য এই উদ্‌যাপন ভুলে আরেকবার বল করতে হয় মোসাদ্দেককে। স্টাম্পের সামনে থেকে উইকেটকিপার নুরুল হাসান বল ধরায় টিভি রিপ্লে দেখে আম্পায়ার ‘নো’ ডাকেন। ফ্রি হিটের বোঝা মাথায় নিয়ে ফের বল করতে হয়েছে মোসাদ্দেককে
অনেক নাটকের পর জয়টা অবশেষে এল! দুই হাত মেলেই উদ্‌যাপন সারলেন সাকিব। জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপেও ভালোভাবে টিকে থাকলেন সাকিব–তাসকিনরা
সাকিবদের উদ্‌যাপনই বলে দিচ্ছে সব। উত্থান–পতনের ম্যাচে ভাগ্যের দোলকটা বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ার পর উৎসবটাও হলো দেখার মতোই