২০২৩ সাল বাবর আজমের নিষ্প্রভ কেটেছে। নতুন বছরের শুরুটাও ভালো হয়নি। সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২৩ রান। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর এবার বাবরের সামনে নিউজিল্যান্ড। এবার অবশ্য সংস্করণটা ভিন্ন—টি-টোয়েন্টি।
বাবর কি চেনা রূপে ফিরতে পারবেন? সেটা সময়ই বলে দেবে। নিউজিল্যান্ডকে এই সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়া কেইন উইলিয়ামসন কিন্তু বাবরকে এখনো তাঁদের জন্য হুমকিই মনে করছেন। অন্যদিকে বাবর ফর্মে নেই, সে কথাই মানতে নারাজ পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে বাবরকে নিয়ে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘সে (বাবর) বিশ্বমানের খেলোয়াড়। ক্রিকেট আমাদের আবেগ–অনূভূতিকে পূর্ণতা দেয় এবং সেটারই একটা অংশ হলো প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করা। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং এটার রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আমরা জানি, সে বড় হুমকি।’
প্রথমবার পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফ্রিদি। প্রথম সিরিজেই সাবেক অধিনায়ক বাবরকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদি বলেছেন, ‘মনে হয় না বাবরের ফর্ম খারাপ, সে–ই সেরা। সে সব সময় পাকিস্তানের জন্য এত রান করেছে, আমার মনে হয় গুনতেও ভুল হবে। এক–দুই ইনিংসে কোনো পার্থক্য তৈরি হয় না। বাবর গ্রেট খেলোয়াড়। সে পাকিস্তানের জন্য অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে অনেক পারফর্ম করেছে।’
২০২৩ সালে টেস্টে ৯ ইনিংসে বাবরের রান মাত্র ২০৪, গড় ২২.৬৬। অথচ ২০২২ সালে টেস্টে বাবর রান করেন ৬৯.৬৪ গড়ে। ১৭ ইনিংসে ৪ শতক ও ৭টি অর্ধশতক। গত বছর ওয়ানডেতে ২৪ ইনিংসে ব্যাট করেছেন ৪৬.৩০ গড়ে ও ৮৪.৬৫ স্ট্রাইক রেটে, যা ২০১৯ সালের পর গড় ও স্ট্রাইক রেটে সর্বনিম্ন। সঙ্গে বিশ্বকাপে ব্যর্থতা তো আছেই।
টি-টোয়েন্টিতে গত বছর বাবর ইনিংসই খেলেছেন মাত্র ৪টি, রান ৪৩.৩৩ গড়ে ১৩০। গত বছরটা ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর। আর এ বছরটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। বলা যায়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছাড়া বাবরের জন্য এই সিরিজে ফর্মে ফেরা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
টি-টোয়েন্টিতে বাবর-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি থেকে সরে আসতে পারে পাকিস্তান, এমন গুঞ্জন কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। পরিবর্তন আসতে পারে, সেটা আজ নিশ্চিত করলেন আফ্রিদিও। তাঁর ভাষ্য, ‘বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি পাকিস্তানের হয়ে সব সময় সেরাই থাকবে। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপের আগে আমাদের ১৭টি ম্যাচ আছে, আমাদের ভিন্ন সমন্বয়ও চেষ্টা করা উচিত। কোন খেলোয়াড় কোন পজিশনে ভালো, সেটা খোঁজার চেষ্টা করা হবে এবং সেই পজিশনে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, না–ও আসতে পারে।’
পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল, অকল্যান্ডে।