কয়েক দিন ধরেই আইপিএলে আলোচনায় অর্জুন টেন্ডুলকার। আলোচনায় আসার মতো অনেক কিছুই তিনি এরই মধ্যে করে ফেলেছেন, তা নয়। তবে বিখ্যাত বাবা শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অর্জুনকে নিয়ে চর্চাটা একটু বেশি।
আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে খেলা অর্জুন যে খুব একটা খারাপ করেছেন, তা–ও নয়। প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা এ পেসার দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে ভালো বোলিং করেন। এরপরও অর্জুনের বোলিংয়ে কিছু ঘাটতি দেখছেন রশিদ লতিফ। লতিফের মতে, অর্জুনের বলে গতি কম। কীভাবে এই পেসার গতি বাড়াতে পারেন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন সাবেক এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
এবারের আইপিএলে অর্জুন টেন্ডুলকারের অভিষেক হয়েছে কলকাতার বিপক্ষে। সে ম্যাচে নতুন বলে ২ ওভার বল করে ১৮ রান দেন অর্জুন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা পরে আর তাঁকে বলে আনেননি। পরের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষেও অর্জুনের হাতেই নতুন বল তুলে দেন রোহিত।
নতুন বলে ২ ওভার বল করে ১৪ রান দেওয়া অর্জুনকে আবার বল দেওয়া হয় ম্যাচের শেষ ওভারে। ১ ওভারে ২০ রান—এমন সমীকরণে বোলিংয়ে এসে শেষের ওভারে তাঁর ইয়র্কারগুলোও অনেকের নজর কেড়েছিল। সে ম্যাচে ২.৫ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১টি উইকেট পান অর্জুন।
গত দুই ম্যাচে ঘণ্টায় গড়ে ১২৫ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে দেখা গেছে অর্জুন টেন্ডুলকারকে। এখানেই ঘাটতি দেখছেন লতিফ। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, শারীরিক ভারসাম্য না থাকার কারণে অর্জুনের বলে গতি কম।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘অর্জুন ক্যারিয়ারে শুরুর দিকে আছে। তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অর্জুনের ‘অ্যালাইনমেন্ট’ খুব একটা ভালো নয়, এ জন্য সে বেশি গতি তুলতে পারছে না।’
কীভাবে এই বাঁহাতি পেসার বলে গতি বাড়াতে পারেন, সেই টোটকাও দিয়েছেন লতিফ, ‘যদি ভালো কোনো বায়োমেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সে পায়, তাহলে তার গতি আরও বাড়তে পারে। বোলিংয়ের সময় ভিত্তিটা শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। বোলিংয়ের সময়ে অর্জুন যখন ল্যান্ড করছে, সে ভেতরে আসার বদলে বাইরের দিকে সরে যায়। তার শারীরিক ভারসাম্য ঠিক নেই, যার প্রভাব পড়ছে গতিতে।’
অর্জুনের ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের নয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলছেন ৭টি, লিস্ট এ ক্রিকেটেও ম্যাচ খেলেছেন ৭টি। আইপিএলে দুই ম্যাচসহ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা মাত্র ১১ ম্যাচের। বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংটাও ভালোই করেন অর্জুন। লতিফের প্রত্যাশা, আগামী দুই-তিন বছরে ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠবেন অর্জুন, ‘আবারও বলছি, অর্জুনের ক্যারিয়ারের মাত্র শুরু হয়েছে। তার বলের গতি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, ব্যাটসম্যান হিসেবেও সে ভালোই। দুই-তিন বছরের মধ্যে সে ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে।’