হতাশ বাবর আজম
হতাশ বাবর আজম

বাবর নিজেই জানেন না ফিল্ডিংয়ের সময় খেলোয়াড়দের মন কোথায় ছিল

এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হার। যে আফগানিস্তান এর আগে ওয়ানডেতে সাতবারের দেখায় পাকিস্তানকে কখনোই হারাতে পারেনি, সেই দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল স্বপ্ন এখন খাদের কিনারে। এমন হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক বাবর আজম সতীর্থদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বাবরের মতে, ফিল্ডিংয়ের সময় তাদের দলের ক্রিকেটারদের মন মাঠে ছিল না।

গতকাল চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ২৮২ রানে আটকে রাখে আফগানিস্তান। ২৮৩ রানের লক্ষ্য আফগানিস্তান পেরিয়ে গেছে ৬ বল বাকি রেখেই। নিজেদের ইতিহাসেই আফগানিস্তানের এটি সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। অন্যদিকে এটি টানা তৃতীয় হার পাকিস্তানের। বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার পর পাকিস্তান হারল ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে তাদের ফিল্ডিং। ১০ রানে জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার সেদিন করেছেন সেঞ্চুরি। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ফিল্ডিং পাকিস্তানকে আরও একবার ভুগিয়েছে। অধিনায়ক বাবর মনে করেন, ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁর দলের ক্রিকেটারদের মন মাঠে ছিল না। খেলোয়াড়েরা অন্যমনস্ক ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেছেন, ‘ফিল্ডিংয়ের সময় ক্রিকেটাররা অন্যমনস্ক ছিল। জানি না তারা কী ভাবছিল।’

গতকাল ৭৪ রান করেছেন বাবর

১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের একটা সময় রান ছিল ২ উইকেটে ১৫৫। ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে সেখান থেকে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ১৯১ রানে। এমন ধসের পর ম্যাচটি তারা হেরেছিল ৭ উইকেটে।

তখন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছিলেন, ভারতের মাটিতে মানসিক চাপের কারণেই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা এভাবে ভেঙে পড়েছেন। আসলেই কি তা–ই? ভারতের বিপক্ষে বড় হারই কি পাকিস্তানের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে? অধিনায়ক বাবর তেমনটা মনে করেন না, ‘ভারতের বিপক্ষে হারের পর থেকেই আমরা চাপে আছি, সেটা সত্য নয়। আমাদের পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখছে না। যেটাই পরিকল্পনা করি, মাঠে তাঁর পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারছি না।’